
কলকাতা: শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। মোবাইল ছুড়ে ফেলে, নিজেও পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেই অভিযোগ। তবে ধরা পড়ার পর বিধায়কের বক্তব্য, কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যখন প্রশ্ন তুলছে, কীভাবে জীবনের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার লেনদেন হল? বিধায়ক তখন ব্যবসার টার্নওভারের হিসেব বুঝিয়ে দিলেন।
শনিবার আদালতে পেশে করা হয় জীবনকৃষ্ণকে। তাঁকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। তাঁর দাবি, তিনি একজন বিধায়ক বলেই তাঁর বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সব প্রমাণ তিনি আদালতে দেবেন।
পারিবারিক ব্যবসা থেকেই যে কোটি কোটি টাকা আয় হয়, সে কথা উল্লেখ করেন জীবনকৃষ্ণ। তিনি বলেন, “আমরা ব্যবসায়ী পরিবারের লোকজন। আমাদের টার্নওভার বছরে ২ কোটি টাকা। আমি প্রথম থেকে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। রেশন ডিস্ট্রিবিউটার, রাইস মিলের সঙ্গে যুক্ত। কোল্ড স্টোরেজ আছে। আমরা বনেদি ফ্যামিলি থেকে বিলং করছি।”
বিধায়ক আরও বলেন, “ষড়যন্ত্র নিয়ে কিছু বলব না। আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি। আমি গ্রামের ছেলে সকাল সাড়ে ৭টায় ওঠার পর যদি হঠাৎ ইডি যায় তাহলে কী করব? আমরা পালাবো নাকি! আমরা কোথায় যাব, আমরা তো এমএলএ?” জীবনের স্ত্রী’র অ্যাকাউন্টের টাকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তদন্তকারীরা। সেই প্রসঙ্গে এদিন জীবনকৃষ্ণ বলেন, “যে টাকা রয়েছে, সেটা সাত বছরের।” তিনি এও জানিয়েছেন যে সিবিআই-এর মামলায় জামিন পাওয়ার পর তাঁকে যে ইডি হেফাজতে নেবে, তা তিনি জানতেন।
এদিকে, জীবনকৃষ্ণের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে শোনা যাচ্ছে এক ব্যক্তি বিধায়কের কাছে টাকা ফেরত চাইছেন। সেই ভিডিয়োর কথাও অস্বীকার করেছেন জীবনকৃষ্ণ।