কলকাতা: পুরনো আসন হারালেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। বিধানসভায় যে আসনে তিনি বসতেন, সেই আসন হয়ে গেল অন্য কারও! পাঁচ মাস হয়ে গেল জেলবন্দি রয়েছেন বড়ঞার বিধায়ক। কবে আসবেন, তার কোনও ঠিক নেই। তাই তাঁর চেয়ার দিয়ে দেওয়া হল অন্য বিধায়ককে। বিধায়র হওয়ার পর থেকে যে আসনে জীবনকৃষ্ণ বসতেন, সেটাই এবার পেলেন শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তিন নম্বর ব্লকের ১৫২ নম্বর আসন থেকে ১০০ নম্বর আসনে স্থানান্তরিত হলেন জীবন।
বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে তিন নম্বর ব্লকটিতে মূলত সেই সব বিধায়কদের আসন রয়েছে, যাঁরা কখনও না কখনও দলবদল করেছেন। যেমন বিধায়ক মুকুল রায়ের জায়গা ওই ব্লকেই। সেখানেই জায়গা দেওয়া হয়েছে জীবনকৃষ্ণকে। আর ব্রজ কিশোর যেখানে স্থান পেয়েছেন অর্থাৎ জীবনের পুরনো জায়গায়, সেটি পুরোপুরিভাবেই তৃণমূল বিধায়কদের জায়গা।
কিন্তু কেন এই পরিবর্তন? বিধানসভা সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণকে আবার কবে বিধানসভায় দেখা যাবে, তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, একটি ব্লকের ধারের দিকের আসন চাইছিলেন ব্রজকিশোর। তাই শান্তিপুরের বিধায়কের সেই ইচ্ছাকে মান্যতা দেওয়ার চেষ্টা করা হল বিধানসভায়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করার পর তাঁর ঠাঁই হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। গোয়েন্দাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে তিনি কীভাবে নিজের মোবাইল পুকুরের জলে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, তা অনেকেই দেখেছিলেন। সম্প্রতি গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে উদ্ধার হওয়া সেই মোবাইলের তথ্য। নিয়োগ কেলেঙ্কারি তথা চাকরি বিক্রি নিয়ে যে কথোপকথন তাঁর মোবাইল থেকে উঠে এসেছে, তা তদন্তকারীদের হাতে বড় অস্ত্র তুলে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।