৪ তারিখেই ট্যুর ছিল, পুজো পর্যন্ত সব বুকিং! পহেলগাঁও ছাড়া কাশ্মীর ভ্রমণ সম্ভব? কী বলছে কুণ্ডু ট্রাভেলস

J&K Terror Attack: জম্মু-কাশ্মীরেও ট্যুর করায় কুণ্ডু ট্রাভেলস। তবে মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কিত তারাও। ব্যবসায় তো বিরাট ক্ষতি হচ্ছেই, পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

৪ তারিখেই ট্যুর ছিল, পুজো পর্যন্ত সব বুকিং! পহেলগাঁও ছাড়া কাশ্মীর ভ্রমণ সম্ভব? কী বলছে কুণ্ডু ট্রাভেলস
কুণ্ডু ট্রাভেলস কর্ণধার সৌমিত্র কুণ্ডু।Image Credit source: TV9 বাংলা

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Apr 23, 2025 | 6:15 PM

শ্রীনগর: বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রূপ। জম্মু-কাশ্মীর নয়, ভূস্বর্গ নামেই এই পার্বত্য উপত্যকা পরিচিত পর্যটকদের কাছে। এই নামের সার্থকতা কতটা, তা নিজের চোখে পরখ করতে প্রতি বছর লাখো পর্যটক ভিড় জমান। মাঝে কয়েক বছর সন্ত্রাসবাদের জন্য পর্যটনে প্রভাব পড়লেও, বিগত কয়েক বছরে আবার পুরনো ছন্দে ফিরেছিল। ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল পর্যটন শিল্প। সেখানেই এমন ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানা। ধর্ম জেনে বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে হিন্দুদের। এরপর আর কী কেউ কাশ্মীরে ঘুরতে যাবেন?

কলকাতা তথা রাজ্যের অন্যতম বড় ট্রাভেল-ট্যুরিজম সংস্থা কুণ্ডু ট্রাভেলস। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ট্যুরের আয়োজন করেন তারা। প্রবীণরা ঘুরতে গেলে, চোখ বন্ধ করে ভরসা করেন এই সংস্থার উপরেই। জম্মু-কাশ্মীরেও ট্যুর করায় কুণ্ডু ট্রাভেলস। তবে মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কিত তারাও। ব্যবসায় তো বিরাট ক্ষতি হচ্ছেই, পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

কুণ্ডু ট্রাভেলসের মালিক সৌমিত্র কুণ্ডু বলেন, “আগামী তিন – চার মাসের মধ্যে আটটি ট্যুর রয়েছে কাশ্মীরে। সেগুলি আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পর্যটকরা এই অবস্থায় অনেকে কাশ্মীর যেতে চাইছেন না। সে ক্ষেত্রে আমরা বিমানের যাতায়াতের খরচ বাদে সব টাকা ফেরত দিয়ে দিচ্ছি।”

তিনি জানান, আগামী ৪ মে কাশ্মীরে একটি ট্যুর ছিল। সেটা সম্ভবত বাতিল করা হচ্ছে। যারা যারা বুকিং করেছিলেন, তাঁদের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। পুজো পর্যন্ত প্রায় ৪-৬টি কাশ্মীরে ট্যুর রয়েছে। সেগুলি নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছেন পর্যটকরা। বুকিং কমপ্লিট, তবে পর্যটকরা এখনই কেউ টাকা ফেরত চাইছেন না। কারণ তাঁরা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না যে কী করবেন।

কুণ্ডু ট্রাভেলসের তরফেও এই বিষয়ে কাউকে চাপ দেওয়া হচ্ছে না।  সৌমিত্র কুণ্ডু বলেন, “কাশ্মীরের পরিস্থিতি যা, তাতে মানুষ যদি বিকল্প জায়গা খুঁজে নেয়, তাহলে কাশ্মীরের মানুষ, কাশ্মীরের পর্যটন বিপদে পড়বে।পহেলগাঁওকে বাদ দিয়ে কাশ্মীরের পর্যটনের ব্যবস্থা করা যাবে না। কারণ সাধারণ মানুষের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে এই অংশটি।”