
মোমিনপুর: মোমিনপুর কাণ্ডে এবার জেএমবি (JMB) যোগের অভিযোগ। বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। সেখানে আজ পৌঁছন এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা। তখনই এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনওরকম ওয়ারেন্ট ছাড়াই এনআইএ-র আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সূত্রের খবর এ দিন দুপুর নাগাদ উঠে এল জেএমবি যোগের তথ্যও।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে খবর, আজ ভূকৈলাস রোড-সহ মোট ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। চারটি বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। গোয়েন্দাদের অনুমান এই ৩৫ লক্ষ টাকা হিংসার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। তাই কোথা থেকে এই টাকা এসেছে, কোন পথ থেকে টাকা আনা হয়েছে তার তদন্ত করা হচ্ছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এনআইএ আধিকারিকরা একবালপুর থানায় উপস্থিত রয়েছেন। যে চারটি বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে সালাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এনআইএ সূত্রে খবর, মোমিনপুর হিংসার তিনটি মামলায় সালাউদ্দিনের নাম উঠে এসেছিল। সেই সূত্রেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ব্যক্তিই অন্যতম অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ভূকৈলাস রোড এলাকায় সালাউদ্দিনের ব্যবসা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের কোনও হদিশ মেলেনি।
জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ। এটি একটি জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ, ভারত সহ একাধিক দেশে এই সংগঠন নিষিদ্ধ। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিভাগের পলমপুরে শায়খ আব্দুর রহমান এটি প্রথম প্রতিষ্ঠা করে।