
কলকাতা : সোমবার সকাল থেকেই নার্সিং নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ রাজ্য হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দফতরের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ ছিল গুরুতর। বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও নাকি অনেকে চাকরি পেয়েছেন, এমন অভিযোগ উঠে আসে। বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের ভিতরে ডেকে নিয়ে গিয়ে কথাও বলা হয়। অবশেষে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ওঠার একটি ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সন্ধের থেকেই অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে মাইকিং করা হচ্ছিল। তারপর বিক্ষোভকারীরা অবস্থান তুলে নেন। কিন্তু তারপর আবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এবং ফের তাঁরা রাজ্য হেলথ রিক্রুটনেব্ট বোর্ডের দফতরের গেটের সামনে বসে যান।
জানা গিয়েছে, নিয়োগপ্রার্থীদের একাংশকে অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল পুলিশ প্রশাসন। সেই মতো অবস্থান তুলেও নেওয়া হয় ক্ষনিকের জন্য। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের অপর একটি অংশ অবস্থান তুলতে রাজি ছিল না। সেই সময় তাঁদের জোর জবরদস্তি করে অবস্থান তুলতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানা যায়। আর এর জেরেই ফের হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের গেটের বাইরে অবস্থানে বসে যান বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, GNM স্টাফ নার্সিং-এর পরীক্ষার পরে প্রকাশিত তালিকায় গরমিল রয়েছে। সেই নিয়েই বিক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের একাংশের। অভিযোগ, যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। কম নম্বর পেলেও তালিকায় নাম রয়েছে অনেকেরই। অসংরক্ষিত প্রার্থীদের তালিকার মধ্যেই ঢুকে গিয়েছে সংরক্ষিত প্রার্থীদের নাম। এমনই সমস্ত অভিযোগ নিয়েই সোমবার সকাল থেকে হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বাইরে বিক্ষোভ দেখান নিয়োগপ্রার্থীরা।
হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় বলেন, “নিয়োগে কোনও রকম দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়। রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে তার জন্য ইতিমধ্যে নথি যাচাইয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রিক্রুটমেন্ট বোর্ড নিয়োগ সংস্থা। সকলকে চাকরি দিতে হবে এই দাবি রূপায়ণের ক্ষমতা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের হাতে নেই। নিয়োগপ্রার্থীরা বলছেন, আগে আবেদন করলেই চাকরি হত, এখন কেন হচ্ছে না! নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতেই মেধা তালিকার পথে হাঁটা হয়েছে। প্রয়োজনে কে কত নম্বর পেয়েছেন সেই তালিকা প্রকাশ করা যেতে পারে। সংরক্ষিত নিয়োগপ্রার্থীরা ভাল নম্বর পেলে তাঁরা স্বাভাবিক ভাবে অসংরক্ষিত তালিকায় আসবেন। তা না হলে সংরক্ষিত শ্রেণির নিয়োগকারীরা আদালতে যেতে পারেন। খালি পদ যা রয়েছে তার জন্য আবার বিজ্ঞপ্তি বেরনোর পথ রয়েছে। সরকার সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”