কলকাতা: যোগেশ চন্দ্র চৌধুরি কলেজে আচমকাই টিএমসিপি নেতার নামে পোস্টার। বুধবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে নেতা সাবির আলির ছবি-সহ পোস্টার পড়তে দেখা যায়। পোস্টারে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। অ্যাডমিশন থেকে প্রোমোটিং- একের পর এক অভিযোগ উঠেছে ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। পোস্টারে লেখা, “‘টিএমসিপি ছাত্র নেতা সাবির আলি তোলাবাজি থেকে শুরু করে প্রোমোটিং কলেজে ভর্তি দুর্নীতিতে জড়িত থাকায়, তাকে বহিষ্কৃত করতে হবে।”
তবে সাবির আলি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি সাংবাদিকদের ডেকে সব কথা বলবেন। এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের প্রাক্তন ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন। প্রাক্তন পাঁচ ছাত্র-ছাত্রীকে আগামী ৬ মাস কলেজে ঢুকতে নিষেধ করে দেন বিচারপতি।
এই পাঁচ জনের তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে সাবির আলির। তিনি যোগেশ চন্দ্র ডে কলেজের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু কলেজ থেকে পাশ করে বেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি বিভিন্নভাবে সক্রিয় থাকতেন বলে অভিযোগ। আরও চার জন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মস্তানি নয়! দিন কাল খুব খারাপ।” বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘‘অভিযুক্তদের যেন আগামী ছ’মাস কলেজ চত্বরের ত্রিসীমানায় না দেখা যায়।’
প্রসঙ্গত, যোগেশচন্দ্র ল কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্রই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন, তাঁর অভিযোগ ছিল, কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা গুন্ডামি, দাদাগিরি করছে। পাঁচ প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজের এক প্রাক্তন পড়ুয়া।