JU Vice Chancellor: যাদবপুরের নতুন উপাচার্য বিজেপি ঘনিষ্ঠ? বাম-তৃণমূল-বিজেপি কে কী বলছে…

JU Vice Chancellor: রবিবার ছুটির দিনই উপাচার্য পদে দায়িত্ব নিয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের কথা সকলকে জানান রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। জরুরি অবস্থায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপাচার্য।

JU Vice Chancellor: যাদবপুরের নতুন উপাচার্য বিজেপি ঘনিষ্ঠ? বাম-তৃণমূল-বিজেপি কে কী বলছে...
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাবেন বুদ্ধদেব সাউ।Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 21, 2023 | 12:10 AM

কলকাতা: ছাত্রমৃত্যুকে ঘিরে একের পর এক প্রশ্নের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বড় প্রশ্ন বোধহয় ছিল, কেন দেশের অন্যতম উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠানের মাথায় কোনও অভিভাবক নেই? কেন এতদিন ধরে উপাচার্য ছাড়া চলতে হচ্ছে যাদবপুরকে? এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি রাজভবন থেকে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। উপাচার্য হয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ। তবে নতুন উপাচার্য নিয়োগের পরও প্রশ্নে কিন্তু বিরাম চিহ্ন টানা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, এই উপাচার্য বিজেপিপন্থী। বিজেপিপন্থী অধ্যাপক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তবে এক সময় আবুটা, ওয়েবকুপার সঙ্গেও থেকেছেন তিনি।

রবিবার ছুটির দিনই উপাচার্য পদে দায়িত্ব নিয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের কথা সকলকে জানান রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। জরুরি অবস্থায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপাচার্য। দায়িত্ব নেওয়ার পর বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “আমাকে একজন শিক্ষক এবং একজন মানুষ হিসাবে পরিচয় দিন না। কারণ মানুষ তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে থাকে। আমি তো জুটাতেও ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষকদের সঙ্গে আমার পরিচয়। সেই পরিচয়টাই ভাল হত। এতে রাজনীতির রং না লাগানোই ভাল। আর এমন কি কোনও ব্যক্তি আছেন যিনি রাজনীতির ঊর্ধ্বে? তাই শিক্ষার মতো পবিত্র জায়গায় এসব এনে কলুষিত করার কোনও মানে নেই। তা সমাজকে ভাল বার্তা দেয় না।”

তবে নতুন উপাচার্য যাই বলুন না কেন, রাজনীতির ময়দানে যাঁদের ‘সরব’ যাতায়াত, তাঁরা কিন্তু খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এমন একজনকে ভাইস চান্সেলার করা হল, তাঁর ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নেই। যোগ্যতার মাপকাঠিতে পিছনে। তবে অন্য যোগ্যতা আছে। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসংঘের প্রেসিডেন্ট। মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের লোক খুঁজবেন, আর রাজ্যপাল বিজেপির লোক খুঁজবেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে কি রাজনীতির আখড়া করে ছাড়বেন?”

অন্যদিকে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “যিনি উপাচার্য হয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু তিনি তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক অভিমত যদি যাদবপুরের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন অবশ্যই তার প্রতিবাদ হবে।”

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নতুন চেয়ারপার্সন হিসাবে মনোনীত হয়েছেন রাজন্যা হালদার। তিনি অবশ্য বলেন, সিসিটিভি বসানোর দাবি, র‌্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস-হস্টেলের দাবি তাঁদের। তা মেনে নিলেই হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ যাতে থাকে, সার্বিক উন্নতি হয়, তার দিকেও যেন উপাচার্য খেয়াল রাখেন।

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য উপাচার্যের সঙ্গে বিজেপি-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ আমল দিতে নারাজ। তিনি বলেন, রাজ্যপাল কাকে নিয়োগ করবেন, তা তাঁর অধিকারেই তিনি করবেন। তবে যাদবপুর উপাচার্যহীন অবস্থা থেকে উপাচার্য পেয়েছেন। রাজ্যপাল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে বাংলার মানুষের ওঁর উপর আস্থা আছে বলেই দাবি শমীকের।