কলকাতা: ‘সোমা দাসের চাকরি দিয়েছেন আপনি, আমাদের চাকরির ব্যবস্থাও করুন।’ চোখে জল নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে গিয়ে এ কথা বলেন এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট উত্তর, “চাকরি আমি দিইনি, সোমা দাসের চাকরি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” মাস কয়েক আগে এক ক্যানসার আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী সোমা দাসকে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন বিচারপতি। সেই মতো জরুরি ভিত্তিতে নবান্নের তরফ থেকে তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। সে কথাই এদিন উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।
রাস্তায় বসে দিনের পর দিন আন্দোলন করছিলেন সোমা দাস নামে এক চাকরি প্রার্থী। ক্যানসার আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও দিনের পর দিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে আন্দোলন করেন তিনি। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন যাতে সোমার চাকরির একটা ব্যবস্থা করা যায়। পরে শিক্ষকতার চাকরি পান সোমা। অনুরোধ রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।
বুধবার ফের সেই চাকরি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি শুধুমাত্র সুপারিশ করেছিলাম। সোমা দাসের চাকরি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি বিষয়টা খুবই মানবিকভাবে দেখেছিলেন।” এদিন একদল চাকরি প্রার্থী বিচারপতির বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। আইনি জটিলতায় চাকরি আটকে আছে বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, সোমা দাসের আর্জি শোনার পর স্কুলশিক্ষা দফতরকে চাকরির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেছিলেন, “প্রয়োজনে রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক।” চাকরি না পেলে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কীভাবে চিকিৎসা হবে, এ কথা ভেবেই সাত দিনের মধ্যে চাকরির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।