AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: ‘চাকরি যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন বিডিও-রা’, পঞ্চায়েত ভোট মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

Calcutta High Court: কীভাবে একজন সরকারি কর্মী হয়ে সরকারি আইজীবী থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত আইনজীবী রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।

Calcutta High Court: 'চাকরি যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন বিডিও-রা', পঞ্চায়েত ভোট মামলায় মন্তব্য বিচারপতির
বিচারপতি অমৃতা সিনহা। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2023 | 5:39 PM
Share

কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলা হয়েছে একগুচ্ছ। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলাতেই প্রশ্ন উঠেছে সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে। উলুবেড়িয়ার বিডিও-র বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আর এবার অন্য এক বিডিও-র বিরুদ্ধে তদন্তে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া রহল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে। তবে সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নাম এখনও স্থির করেনি আদালত। বৃহস্পতিবার বালির জগাছার ভোট সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় মনোনয়ন বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে বালির জগাছায়। সেই অভিযোগে মামলা হলে, প্রশ্ন ওঠে বিডিও-র ভূমিকা নিয়ে। আদালতের নির্দেশ, এই মামলার তদন্ত করবে হাওড়া পুলিশ তবে নজরদারিতে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি। এর আগে উলুবেড়িয়ার বিডিও-র বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। তবে ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতির নজরদারিতে তদন্তের কথা বলেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই পথে হেঁটেই এবার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে তদন্তের কথা বললেন বিচারপতি সিনহা।

জগাছার ওই মামলায় ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করেছেন বিডিও। কীভাবে একজন সরকারি কর্মী হয়ে সরকারি আইজীবী থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত আইনজীবী রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছেন, তার মানে বিডিও-র নিজের কাজের প্রতি ভরসা নেই। এই মামলায় ব্যক্তি নয়, বিডিও পদটিকে যুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সিনহা। বিচারপতি বলেন, “অনেক বিডিও বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন। তাঁরা চাকরি যেতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন, কারণ তাঁদের ব্যাগে অনেক কিছু আছে। যেটা তারা নিজেরাই ভাল জানেন। গতকালও একই জিনিস দেখেছি। বিডিওরা নিজেদের বাঁচাতে বাড়তি টাকা খরচ করে আইনজীবী দাঁড় করাচ্ছেন। সরকারি প্যানেলের আইনজীবীকে ভরসা করতে পারছেন না।”