CBI in Recruitment Scam: ‘গুড ফর নাথিং…’, এজলাসে CBI-কে তীব্র কটাক্ষ বিচারকের

CBI in Recruitment Scam: কুন্তল কাকে টাকা দিয়েছে, তাকে খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক। তাঁর প্রশ্ন, 'গ্রাউন্ড লেভেলের অভিযুক্তরা কোথায়? এখনও পর্যন্ত এই তিনজনের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।'

CBI in Recruitment Scam: গুড ফর নাথিং..., এজলাসে CBI-কে তীব্র কটাক্ষ বিচারকের
প্রতীকী ছবি

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 12, 2023 | 8:45 PM

কলকাতা : দুর্নীতির তদন্তে বারবার সিবিআই-কে তদন্তে গতি আনতে বলেছেন বিচারকেরা। কেন্দ্রীয় সংস্থা তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত করা সত্ত্বেও হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালত সর্বত্রই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। আর এবার সেই সিবিআই-কে ‘গুড ফর নাথিং’ (good for nothing) বলে কটাক্ষ করলেন বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষকে। তবে তদন্তে তেমন কিছু কেন পাওয়া গেল না? তা নিয়ে কার্যত ভর্ৎসনা করেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়।

এদিন শুনানি চলাকালীন কেস ডায়েরি হাতে নিয়ে বিচারক বলেন, ‘বাংলায় একটা প্রবাদ আছে শুনেছেন পিপি সাহেব? পর্বতের মুষিক প্রসব। কিছুই তো পাওয়া যায়নি। গুড ফর নাথিং।’

তাপস মণ্ডলের আইনজীবী জানতে চান, তাঁর মক্কেল গ্রেফতার হওয়ার
পর ৮৪ দিন পার হয়ে গিয়েছে। তারপরও তিনি যে টাকা নিয়েছেন, সেই টাকা কোনও সরকারি অফিসারকে দেওয়া হয়েছিল কি না, তার প্রমাণ কেন দেখাতে পারা যাচ্ছে না? সেই প্রশ্নও ওঠে।

বিচারক সিবিআই-এর কাছে জানতে চান, সরকারি কর্মী কোথায়? উত্তরে সিবিআই জানায়, সরকারি কর্মীদের যোগ আমরা পেয়েছি। কিন্তু তিনি প্রোটেকশনে আছেন। বিচারক আরও বলেন, জেলে গিয়ে জেরাও তো করেননি।

অন্যদিকে, নীলাদ্রি ঘোষের আইনজীবীও একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘৮৪ দিন হল। এখনও বলা হচ্ছে আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ কুন্তল ঘোষ বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটাই অভিযোগ, যে আমি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। ‘কেউ অপরাধ করলে ধরা পড়বে’ বলে মন্তব্য করেন সিবিআই-এর আইনজীবী।

তবে এদিন তদন্তকারী অফিসারের প্রশংসাও করেছেন বিচারক। তিনি বলেন,
নথি পর্যাপ্ত সংগ্রহ হয়েছে। তবু সেটা যথেষ্ট নয়। কুন্তল কাকে টাকা দিয়েছে, তাকে খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘গ্রাউন্ড লেভেলের অভিযুক্তরা কোথায়? এখনও পর্যন্ত এই তিনজনের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।’

তবে এই প্রথমবার নয় আগেই তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, তদন্তের গতি বাড়াতে রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে আরও শতাধিক আধিকারিককে।