Juvabharati Case: ‘২৩ কোটি টাকার দুর্নীতি, ৩-০ গোলে এগিয়ে শতদ্রু’, যুবভারতী মামলায় সওয়াল-জবাবে বিস্ফোরক তথ্য

Messi Tour in Kolkata: শতুদ্রুর জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, "শতদ্রু দত্ত খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন পেলে পালিয়ে যেতে পারেন শতদ্রু। কারণ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিখ্যাত ফুটবলারের সঙ্গে প্লেনে ওঠার মুহূর্তে ধরা হয়েছে। এত বড় ঘটনা ঘটার পরে মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।"

Juvabharati Case: ২৩ কোটি টাকার দুর্নীতি, ৩-০ গোলে এগিয়ে শতদ্রু, যুবভারতী মামলায় সওয়াল-জবাবে বিস্ফোরক তথ্য
শতুদ্রু দত্ত, ডানদিকে, সরকারি আইনজীবীImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 28, 2025 | 4:14 PM

কলকাতা: যুবভারতীকাণ্ডে শতুদ্রু দত্তের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত। এদিনের মামলায় সরকারি  আলিপুর আদালতে আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করেন, যুবভারতীতে মেসিকে আনা নিয়ে প্রায় ২৩ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “এই তদন্ত একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ টিকিট কেটেছিলেন। ১৯ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল।” সেদিনের অশান্তি, বিশৃঙ্খলায়  ২ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছিল।

শতুদ্রুর জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, “শতদ্রু দত্ত খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন পেলে পালিয়ে যেতে পারেন শতদ্রু। কারণ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিখ্যাত ফুটবলারের সঙ্গে প্লেনে ওঠার মুহূর্তে ধরা হয়েছে। এত বড় ঘটনা ঘটার পরে মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।”

তাঁর বক্তব্য, যিনি মেসিকে এনে এত বড় অনুষ্ঠান করতে পারেন, তাঁর প্রভাব কতটা সেটা বলার প্রয়োজন নেই। তিনি আদালতে জানান,  ১২ ডিসেম্বর চুক্তি হয়েছে। এদিকে খাবারের চুক্তি নভেম্বর মাসেই হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ সরকারি দফতরের সঙ্গে চুক্তির আগেই খাবার – পানীয় মাঠে ঢোকানোর চুক্তি হয়েছিল। সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, এই চুক্তির তারিখ থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে শতুদ্রুর উদ্দেশ্য। এই মামলায় তদন্তে পুলিশ ২১ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে।

পাল্টা শতদ্রু দত্তের আইনজীবী সৌমজিত রাহার বক্তব্য, “এটা পেশাদার সংস্থার অনুষ্ঠান। মূল উদ্দেশ্য বিশ্ব বিখ্যাত ফুটবলারকে দেখানোর। প্রশাসন – সহ সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হয়েছিল।” তাঁর বক্তব্য, এই সংস্থা আগে আন্তর্জাতিক একাধিক এই ধরনের ইভেন্ট করেছে সফলতার সঙ্গে। এই সংস্থা তাদের পেশাদারিত্ব আগেই প্রমাণ করেছে।

৭ নভেম্বর বিধাননগর ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিয়েছিল বলেও আদালতে জানান তিনি। আদালতে তাঁর সওয়াল, ঘটনা ঘটার পরে কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয়। তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানানো হয়েছে। আয়োজক সংস্থার দিক থেকে কোনও নিয়মভঙ্গ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আদালতে শতুদ্রুর আইনজীবী জানান,  দেশের সব জায়গায় শতদ্রু দত্তর সংস্থা তাদের পেশাদারিত্ব প্রমাণ করেছে। ফুটবল লেজেন্ডকে নিয়ে অন্য রাজ্যে সফল অনুষ্ঠান হয়েছে। আমার মক্কেল ৩-০ গোলে এগিয়ে আছেন। মেসির ক্ষেত্রে Z সিকিউরিটি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য,  গোয়েন্দা দফতরের তরফেও তদন্তে অশান্তির কোনও প্রমাণ মেলেনি।  ২২ কোটি ফ্রিজ করা হয়েছে।

শতুদ্রুর শরীরের একাধিক নানান জটিল রোগ রয়েছে বলেও আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী। এই প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, “শতুদ্রু পালিয়ে যাবেন না। আমার মক্কেল কোথাও পালিয়ে যাচ্ছিলেন না। যেহেতু বিখ্যাত ফুটবলারের অন্য রাজ্যেও অনুষ্ঠান ছিল তাই যাচ্ছিলেন।” যদিও তদন্তের স্বার্থে শতুদ্রুর জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত। তাঁকে ফের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শতদ্রু দত্তের পক্ষেরল এক আইনজীবী বলেন, “কলকাতার পর বাকি রাজ্যে, মুম্বই,  দিল্লি, হায়দরাবাদ, তিনটি জায়গাতেই সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই জন্যই বলা হয়েছে, আমরা ৩-০ গোলে এগিয়ে রয়েছি। দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠছে, সেগুলো সবই প্রমাণ সাপেক্ষ। একটা স্টেটমেন্ট দেওয়া মানেই তো সত্য নয়, প্রমাণ করতে হবে।