কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত যত এগিয়েছে ততই সামনে এসেছে একের পর এক নতুন নাম। উঠে এসেছিল গোপাল দলপতির নাম। এই গোপাল দলপতিই আবার প্রথম কালীঘাটের কাকুর কথা বলেন। যদিও কে সেই কালীঘাটের কাকু তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। তিনি দাবি করেছিলেন, নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ নাকি চাকরি বিক্রির টাকা পাঠাতেন ‘কালীঘাটের কাকু’কে। এরমধ্যে জানা যায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই হলেন কালীঘাটের কাকু। এ কথা জানিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে আর এক ধৃত তাপস মণ্ডল। এদিকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। কিন্তু, তার গ্রেফতারির পর কী বলছেন গোপাল দলপতি?
টিভি-৯ বাংলাকে তিনি বলেন, “কাকু তো বলেছিলেন তিনি কোনও দোষ করেননি। এখন যদি তদন্তকারীরা কোনও সূত্র খুঁজে পান তাহলে উনি যে কোনও দোষ করেননি সেটা তো ওকেই প্রমাণ করতে হবে। মুখে বললে তো শুধু হবে না। তবে এর থেকে বেশি ওর সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। কিন্তু, কুন্তল তো আগে বারবারই বলত আমি কালীঘাটে যাব। কাকুর কাছে যাব। এরপর তদন্তকারী সংস্থাকে ও কী বলেছে, তা তো তদন্তকারী অফিসাররা জানেন।”
প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সে চলছিল ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকু। যদিও তিনি কোনও দোষই করেননি, কোনও দুর্নীতিতে যুক্ত নন, রাজনৈতিক যড়যন্ত্রের শিকার, এমনই দাবি সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বাণী ভদ্রের।