
মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে! ডায়লগটা মিঠুন চক্রবর্তীর। চরিত্রের নাম? কেষ্ট, ফাটাকেষ্ট! বাংলার প্রথম মিথ থেকে মস্তান হয়ে দেখিয়েছিলেন। ছোটখাটো নয়, একেবারে রাশভারী প্রতাপশালী গুণ্ডা। আজ কালীপুজো। বাংলার ঘরে ঘরে আজ আলোর উৎসব। তবে প্রদীপের নিচের অন্ধকারটাও তো বেশ গাঢ়, তাই না? সেই অন্ধকারে থেকেও আলোর জগতের সঙ্গে খাপ খাইয়েছিলেন নিজেকে, শুরু করেছিলেন ফাটাকেষ্টর কালীপুজো! সময়টা স্বাধীনতার ৮-৯ বছর আগের। কলেজ স্ট্রিটে একটা ছোট্ট পানের গুমটি, বাবার কাজকর্ম দেখতে দেখতে একটা ছোট্ট ছেলে ভাবছে অনেক কিছু। ঠনঠনিয়ার কালীপুজোর আলো ফুটপাথের ঠিক উল্টোদিকে যে কোণে পৌঁছায় না, সেখানে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে ভাবছে একদিন এর থেকে বড় পুজো করব, লোকে তাকিয়ে দেখবে। কাট টু ১৯৫৫, উত্তর কলকাতার কলেজ স্ট্রিট লাগোয়া গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনের একটা কালীপুজো। যে ছেলেটা শুরু করল পুজো, বন্ধুদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতেই পুজো সরিয়ে আনল সীতারাম স্ট্রিটের একটা ঘরে।...