Group-D Agitation: দুপুর ২টোর কিছু আগে মিছিলে চলে আসেন কৌস্তভ বাগচী। যদিও শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর একসঙ্গে হাঁটা নিয়ে শুরুও হয়েছে বিতর্ক। যদিও মিছিল থেকে দাঁড়িয়ে কৌস্তভ বলেন, “এখানে কোনও কংগ্রেসের পতাকা নেই, বিজেপিরও পতাকা নেই। তাই এখানে না হাঁটার কোনও কারণ নেই।”
কলকাতা: পথে নেমেছেন গ্রুপ-ডি (Group-D) চাকরি প্রার্থীরা। ক্যামাক স্ট্রিট দিয়ে যাচ্ছে মিছিল। যদিও মিছিলের অনুমতি নিয়ে জল গড়িয়েছিল আদালতে। রুট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু, রুট বদলের কোনও নির্দেশ আসেনি। ফলে ক্যামাক স্ট্রিটের ওই জায়গা দিয়েই যাচ্ছে মিছিল। মিছিলে পা মেলাচ্ছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, থাকছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীও। যা নিয়েই এদিন দিনভর তপ্ত কলকাতার রাজনৈতিক মহল।
দুপুর ২টোর কিছু আগে মিছিলে চলে আসেন কৌস্তভ বাগচী। যদিও শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর একসঙ্গে হাঁটা নিয়ে শুরুও হয়েছে বিতর্ক। যদিও মিছিল থেকে দাঁড়িয়ে কৌস্তভ বলেন, “এখানে কোনও কংগ্রেসের পতাকা নেই, বিজেপিরও পতাকা নেই। তাই এখানে না হাঁটার কোনও কারণ নেই। আমি ব্যক্তি কৌস্তভ বাগচী হিসাবে, আইনজীবী হিসাবে এখানে এসেছি। তাই এটা নিয়ে আলাদা করে জল্পনা করার কিছু নেই।”
কৌস্তভ আরও বলেন, “আমি তো বলছি, মুখ্যমন্ত্রী আসুন না, মন্ত্রীদের পাঠান না। তাঁদের সঙ্গে হাঁটতে আমার তো কোনও অসুবিধা নেই। দিনের শেষে এই ছেলেমেয়েগুলোর চাকরি দরকার। এটাই আসল কথা। সরকার যদি চাকরি দিত তাহলে তো মিছিলই হত না।”
মিছিলে কৌস্তভ
দুপুর আড়াইটে নাগাদ মিছিলে এলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে কৌস্তভের থাকা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কে থাকবেন কে থাকছেন না সেটা তাঁর বিষয় নয়। তিনি মিছিলে এসেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে, বিজেপি নেতা হিসাবে নয়। ফলে অন্য কে তাঁর সঙ্গে থাকবেন সেটা তাঁর বিচার্য নয়। গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যে বঞ্চনা হচ্ছে তাঁর প্রতিবাদে, চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকতেই তিনি মিছিলে এসেছেন।
শুভেন্দু বলেন, “এরা পরীক্ষায় পাশ করার পরেও এদের চাকরি না দিয়ে সেই চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। এদের হাইকোর্টে সিঙ্গেল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে লড়ে মিছিল করতে হয়েছে। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সরকার এবং সরকারি দলের দ্বারা যাঁরাই অত্যাচারিত তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত বিরোধী দলনেতা থাকবে। আমি সঙ্গতি জ্ঞাপনের জন্য এদের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিট থেকে নিজাম প্যালেস পর্যন্ত এদের দাবিকে সমর্থন করলাম। আগামী তিন তারিখ এদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমার কলকাতায় সভা হবে। আইনি লড়াই করে এদের অধিকারী প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অঙ্গিকারবদ্ধ।”