
কলকাতা: এফআইআরে নাম থাকা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী শিক্ষা দফতরের দেওয়া শোকজও কার্যকর হবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন ওই চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে গিয়ে তাঁদের হুলিগান বলে সম্বোধন করলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর তাঁর এই মন্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসছেন আন্দোলনকারীরা।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘হুলিগানদের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়েছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল’, ভিজিল্যান্স কমিশন ও এসবিআই-এর শাখা।’ তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই উঠেছে প্রশ্ন। চাকরি হারিয়ে যারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন, তাঁদের কীভাবে গুণ্ডা বললেন আইনজীবী?
এক আন্দোলনকারী বলেন, “সুখের জীবন ছেড়ে আজ এখানে চলে এসেছি। হতদরিদ্রের মতো রাস্তায় বসে আছি। আমাদেরই হুলিগান বলছেন!” আর এক চাকরিহারা আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা এত বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছি। এই নোংরা মন্তব্য করলে তাদের কাছে কী বার্তা পৌঁছবে।” এক আন্দোলনকারীর কথায়, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাঝে সেদিন হঠাৎ পুলিশ লাঠিচার্জ করে। গুণ্ডা তো পুলিশকে বলা যায়।”
এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, “যেখানে হুলিগান বলার, সেখানে হুলিগান বলতে হবে। যেখানে হুলিগান বলার, সেখানে হুলিগান বলতে হবে। ১৫ মে যা হয়েছে, তাকে আপনি কী বলবেন? যেভাবে সব ভেঙে ফেলছে, সেগুলো বলব না?” তাঁকে পাল্টা আক্রমণে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এই শিক্ষকরাই কোনও একদিন এদের পড়িয়েছে। সেই শিক্ষকদের কেউ যদি কেউ এভাবে হুলিগান বলে, তাহলে কিছু বলার নেই। আসলে উনি তৃণমূলের ভিতরের কিছু শিক্ষককে দেখে গোটা শিক্ষককূলকে বিচার করছেন।”