Kalyan Banerjee: ‘ড্রামাবাজ’! আঁচড় বিতর্কে বিরোধী দলনেতাকে চরম আক্রমণ কল্যাণ-হুমায়ুনের

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 25, 2025 | 5:24 PM

Kalyan Banerjee: আবার ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন বলছেন, "উনি যেভাবে পুলিশকে সরিয়ে দিয়ে যেতে চাইছিলেন, যেভাবে পুলিশের ওপর ধাক্কাধাক্কি করছিলেন, কিছু পুলিশ অফিসার নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলেন, শুভেন্দু কখন কাকে ঘুষি চালিয়ে দেবেন, ওরাই হাত তুলে দিয়েছে এই ভাবে।"

Kalyan Banerjee: ড্রামাবাজ! আঁচড় বিতর্কে বিরোধী দলনেতাকে চরম আক্রমণ কল্যাণ-হুমায়ুনের
শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: আঁচড় বিতর্কে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বেলাগাম আক্রমণ ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। তিনি বলছেন, ‘শুভেন্দু যাত্রাপালা করছেন।’ আবার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী ড্রামাবাজ।’

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুভেন্দু এক নম্বরের ড্রামাবাজ লোক। ওকে কে মারবে? ৬০ খানা সিআইএসএফ ঘিরে থাকে, তাতেও মারছে? নাটক করছে। বাজার খুব খারাপ ওর। নাটক-ফাটক করে চলছে। আমি তো খুশি হতাশ, সত্যি সত্যি ও মার খেলে।”

আবার ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন বলছেন, “উনি যেভাবে পুলিশকে সরিয়ে দিয়ে যেতে চাইছিলেন, যেভাবে পুলিশের ওপর ধাক্কাধাক্কি করছিলেন, কিছু পুলিশ অফিসার নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলেন, শুভেন্দু কখন কাকে ঘুষি চালিয়ে দেবেন, ওরাই হাত তুলে দিয়েছে এই ভাবে।” সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, “আপনারা রক্ত দেখেছেন কিনা জানি না, উনি বারবার হাত তুলে দেখাচ্ছেন, রক্ত বেরোচ্ছে। রক্তের রং তো লাল হয়, কিন্তু ওনার সাদা শরীরে লালের কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি। অনেক আগে যাত্রাপালা হত গ্রামে, আজকে মনে হচ্ছে ২৬-এর পর ওনাকে যাত্রাপালায় জয়েন করতে হবে।”

যদিও এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন, বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কল্যাণ মাঝে একটাই ঠিক করেছেন। চোর ধরো, জেল ভরো… কর্মসূচি চালু করতে হবে।” বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, “কল্যাণবাবুর এই ধরনের মন্তব্য করতে গিয়ে হিতে বিপরীত না হয়ে যায়।”

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ঘরহারাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। কিন্তু এলাকায় আগে থেকেই ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। শুভেন্দু পৌঁছতেই তাঁদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।

পুলিশি বাধা টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন শুভেন্দু। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান এক বিজেপি নেতা। ধাক্কাধাক্কির মাঝেই শুভেন্দুর হাত কেটে যায় বলে অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন,  গোলাম মুস্তার্জা নামে এক এসআই তাঁর হাতে আঘাত করেন। হাত থেকে রক্ত বেরিয়ে যায় বলেও দেখাতে থাকেন তিনি। পরে বিধানসভায় তাঁর হাতে ব্যান্ডেজ করা হয়।