
কলকাতা : কল্যাণী এইমসের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিপত্তি বাড়ল সিআইডি-র। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হল, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে সিআইডি-কে। সোমবার এই তদন্ত সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় সিআইডি-কে কার্যত সতর্ক করল হাইকোর্ট। যেহেতু এইমস একটি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাই তার বিরুদ্ধে তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। এই আর্জি জানিয়ে একটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশনম বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।
কল্যাণী এইমসে বেআইনিভাবে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা, আর এক বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ অনুসূয়াকে নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে সিআইডি সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এরপরই হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলায় বক্তব্য ছিল, অবিলম্বে সিআইডি-র হাত থেকে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া উচিত। এইমস একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান। সেখানকার নিয়োগ প্রক্রিয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। তাই রাজ্য তদন্ত করতে পারে না বলে আর্জি জানানো হয়েছে। সুজিত চক্রবর্তী নামে একজন বিজেপি নেতা এই জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে।’
এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে লড়ছিলেন সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল আমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি জানান, তিনি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়াতে চান তিনি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে তিনি জাননা, কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এই মামলা লড়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি। আগামী ২৪ অগস্ট ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানার নিয়োগ নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। ৩০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পান তিনি গত এপ্রিল মাসে। ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করেন মৈত্রী। তাঁর মামলার ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ তোলেন এক চাকরি প্রার্থী। অভিযোগ, কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি মৈত্রী। একই অভিযোগ উঠেছে বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। বাড়িতে গিয়ে মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
তবে এবার সিআইডি-কে আদালতের তরফে অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তদন্তে কোনও প্রভাব পড়বে কি না, সেটাই প্রশ্ন।