কলকাতা: প্রায় ১০ বছর ধরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের শিক্ষা জগতে সুপরিচিত সেই ব্যক্তির নাম জড়িয়ে যায় দুর্নীতির জালে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯ মাস আগে গ্রেফতার করা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায়কে। তারপর থেকেই প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি তিনি। জামিন চেয়েও কোনও লাভ হয়নি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তাঁর ভূমিকা ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। এবার কয়েক ঘণ্টার জন্য ‘ছুটি’ চাইলেন কল্যাণময়।
সোমবার এসএসসি-র গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আলিপুর কোর্টে হাজিরা দেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক অভিযুক্ত। আদালতে প্যারোলের জন্য আবেদন জানান মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।
আগামী ২৪ মে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নাতনির প্রথম বর্ষের জন্মদিন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চেয়ে প্যারোলের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আর্জি, অন্তত ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার জন্য তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। প্যারোল নাহলে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিচারক তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারের কাছে আবেদন জানাতে বলেছেন।
কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও এদিন অশোক সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, নীলাদ্রি দাস সহ অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের ৩০ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন কোনও জামিনের আবেদন জানাননি।
নিয়োগ মামলায় সামনে এসেছে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ। সিবিআই ও ইডি দুই সংস্থাই পুরোদমে সেই নিয়োগের তদন্ত করছে। বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়া গ্রেফতার হয়েছেন আরও দুই বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ও জীবনকৃষ্ণ সাহা। এছাড়াও জড়িয়েছে এসএসসি ও প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন কর্তাদের নাম। তাঁদের সরাসরি যোগ ছিল বলেই অভিযোগ উঠেছে।