Kasba Case: কসবা-কাণ্ডে ধৃতদের ফোনে একাধিক মহিলার ফোন নম্বর, সামনে এল আসল সত্যিটা
Kasba Case: গ্যাং-এর সদস্যদের পরিচয় গোপন রাখতে এবং পুলিশের চোখে ধুলো দিতে এই পন্থা নিয়েছিলেন বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, ধৃত গুলজার এবং যুবরাজ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
কসবা: কসবা-কাণ্ডে সামনে এসেছে একের পর এক তথ্য। জমি কেলেঙ্কারির যোগও পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে নতুন তথ্য ঘিরে বেড়েছে সন্দেহ। তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টার পর ধরা পড়েছেন যুবরাজ এবং গুলজার নামে দুজন। তাঁদের মোবাইল থেকে তদন্তকারীরা বেশ কয়েকজন মহিলার সঙ্গে কথোপকথনের তথ্য হাতে পেলেন। ওই সব মহিলারা কারা, তাঁদের সঙ্গে কসবার ঘটনার কোনও যোগ আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে গিয়ে সামনে আসে আরও তথ্য।
মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার তথ্য যাচাই করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই সব মহিলারা আদতে পাপ্পু গ্যাং-এর সদস্য। তদন্তকারীদের অনুমান, পাপ্পু গ্যাং-এর সদস্যরা নিজেদের নাম বদলে বদলে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। মহিলাদের নামে গ্যাং মেম্বারদের নম্বর মোবাইলে সেভ করা হত বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থাৎ বিহারের ওই গ্যাং ছেলে সদস্যদের মোবাইল নম্বর মেয়েদের নামে সেভ করে রাখতেন, যাতে ধরা পড়লে সহজে সন্দেহ না হয়! আপাত দৃষ্টিতে মেসেজ অথবা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখলে মনে হবে, কোনও মেয়ের সঙ্গে কথোপকথন চলছে।
এই খবরটিও পড়ুন
গ্যাং-এর সদস্যদের পরিচয় গোপন রাখতে এবং পুলিশের চোখে ধুলো দিতে এই পন্থা নিয়েছিলেন বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, ধৃত গুলজার এবং যুবরাজ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
অন্যদিকে, ২০০০ স্কোয়ার ফুটের গোডাউন বেআইনি ভাবে তৈরি হয় বলেই মনে করছে পুলিশ। গুলশানে যে জায়গাতে ওই চার তলা বাড়ি ও গোডাউন তৈরি হয়েছে, সেই জমি সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, জমিটির একটা অংশ কৃষি জমি ছিল ও বাকি অংশ সরকারি জমি। জবরদখল করে গোডাউন তৈরি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছে পুলিশ।