Kasba College Case: ‘নির্যাতিতাকে লুকিয়ে রেখেছে পুলিশ, যাতে…’, বিস্ফোরক জাতীয় মহিলা কমিশন

Kasba College Case: অর্চনা মজুমদারের দাবি পুলিশের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে যে নির্যাতিতার বাড়িতে তালা দেওয়া, নির্যাতিতা কোথায় আছেন তা পুলিশ জানে না। অর্চনা মজুমদারের প্রশ্ন, গণধর্ষণের মতো অভিযোগ ওঠার পর যাঁকে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তিনি কোথায় সেটাই পুলিশ জানে না?

Kasba College Case: নির্যাতিতাকে লুকিয়ে রেখেছে পুলিশ, যাতে..., বিস্ফোরক জাতীয় মহিলা কমিশন
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Meta AI

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 29, 2025 | 2:19 PM

কলকাতা: গত বুধবার কলেজের গার্ড রুমে টেনে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সেই অভিযোগের কথা সামনে আসে। আর তারপর থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গণধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে শাসক দলের ছাত্রনেতা। কলেজের একজন প্রভাবশালী অস্থায়ী কর্মী বলেও পরিচিত ওই যুবক। কসবার আইন কলেজের সেই ঘটনায় এবার বিস্ফোরক জাতীয় মহিলা কমিশনের। নির্যাতিতা কোথায় জানেই না পুলিশ! এ কথা শুনে হতবাক কমিশন।

রবিবার সকালে ‘সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে’ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। প্রাথমিকভাবে তাঁকে ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁদেরকে ভিতরে যেতে দেওয়া হলেও ছবি বা ভিডিয়ো তুলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কথা ছিল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে যাবেন কমিশনের সদস্যরা। কিন্তু নির্যাতিতা কোথায় সেই খবরই পেলেন না জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা।

অর্চনা মজুমদারের দাবি পুলিশের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে যে নির্যাতিতার বাড়িতে তালা দেওয়া, নির্যাতিতা কোথায় আছেন তা পুলিশ জানে না। অর্চনা মজুমদারের প্রশ্ন, গণধর্ষণের মতো অভিযোগ ওঠার পর যাঁকে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তিনি কোথায় সেটাই পুলিশ জানে না? কমিশনের এই সদস্য মনে করছেন পুলিশ আদতে কোথাও লুকিয়ে রেখেছে নির্যাতিতাকে।

পুলিশকে নিশানা করে অর্চনা মজুমদার বলেন, “এটা পরিষ্কার যে পুলিশ ভিকটিমকে কোথাও সরিয়ে দিয়েছে। তাঁকে কোথাও লুকিয়ে রাখা হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ তাঁর বয়ান জানতে না পারে। তাঁর কথা যাতে সাধারণ মানুষের সামনে না আসে। মহিলা কমিশন সাহায্য করতে চাইছে অথচ সদস্যদের শাটল ককের মতো এদিক ওদিক ঘোরানো হচ্ছে। এরকম একটি রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা কোথায়? নারীদের নিরাপত্তাই বা কোথায়?”