কলকাতা: ভুয়ো টিকাপ্রদানকারী দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। অভিযোগ, ভুয়ো পরিচয় ভাঙিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতিও করেছেন দেবাঞ্জন। আরও মারাত্মক অভিযোগ হল, কলকাতা পুরসভার বিশেষ কমিশনারের সই জাল করে পুরসভার নামে দু’টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন বেসরকারি ব্যাঙ্কে। ওই বিশেষ কমিশনারের সই জাল করে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন পত্র ভেরিফাই করা হয়েছিল। তারপর সেই ভেরিফায়েড আবেদনপত্র দিয়ে কলকাতা পুরসভার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।
সরলা মাইক্রো ফিন্যান্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি কিংবা অন্যান্য কোম্পানি থেকে নানা খাতে দেবাঞ্জন দেব যে টাকা নিয়েছিলেন তা শহরের দু’টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। এ ক্ষেত্রে পুরসভার বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরীর সই জাল করে অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টিও বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা পুরসভার নজরে আসে।
এরপরই বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরীর নির্দেশে নিউ মার্কেট থানায় এফআইআর করা হয় দেবাঞ্জন দেবের নামে। বিশেষ কমিশনারের সই জাল করে একাধিক সার্কুলারও জারি করেছেন দেবাঞ্জন। এদিন সন্ধ্যায় পুলিশের তরফে সেগুলি কলকাতা পুরসভায় খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে খবর। পুরসভা সূত্রে খবর, এমনও দেখা গিয়েছে, পুরসভার টাউন প্ল্যানিং বিভাগের এমন কিছু আধিকারিকের সই জাল করে বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে, সেই সব আধিকারিক বা কর্তার টাউন প্ল্যানিং বিভাগে কোনও অস্তিত্বই নেই।
অর্থাৎ যাঁরা আদতে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকই নন, তাদের নাম সই করেও একাধিক কাজ করেছেন দেবাঞ্জন। পাশাপাশি আরবান ডেভেলপমেন্ট বলে একটি এনজিও খুলে কলকাতা পুরসভার ব্যানারে দেবাঞ্জন কাজ করছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট জমা পড়ে পুরসভায়। বিষয়টি নজরে আসতেই এফআইআর করে কলকাতা পুরসভা।