Fake Vaccine: কেউ দেখভাল করতেন ভুয়ো সংস্থা, কারও দায়িত্ব ছিল সই জাল করা; দেবাঞ্জনকাণ্ডে ধৃত তিন

সায়নী জোয়ারদার | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Jun 26, 2021 | 9:31 PM

Fake Vaccination: একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও দায়ের হয়েছে। যে টাকার বিনিময়ে সংস্থার ১৭২ জন কর্মীকে টিকা দেওয়া হয়

Fake Vaccine: কেউ দেখভাল করতেন ভুয়ো সংস্থা, কারও দায়িত্ব ছিল সই জাল করা; দেবাঞ্জনকাণ্ডে ধৃত তিন
ছবি-ফেসবুক

Follow Us

কলকাতা: কসবা ভুয়ো টিকাকরণকাণ্ডে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। ধৃতরা প্রত্যেকেই দেবাঞ্জন দেবের সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার তাঁদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে। অন্যদিকে কসবা থানায় দেবাঞ্জনের নামে আরও তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিনটি অভিযোগই লক্ষাধিক টাকার জালিয়াতি সংক্রান্ত।

বৃহস্পতিবার দেবাঞ্জন দেবের পর্দা ফাঁস হতেই কলকাতায় একের পর এক থানায় অভিযোগ দায়ের হতে শুরু করেছে। পুলিশের দাবি, দেবাঞ্জনের প্রতারণার জাল বহু দূর বিস্তৃত। সময় যত এগোচ্ছে সেদিকেই তদন্ত মোড় নিচ্ছে। অন্যদিকে এই গোটা কাণ্ড যে দেবাঞ্জন একা করেননি তা নিয়েও নিশ্চিত তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই রবীন শিকদার, শান্তনু মান্না ও সুশান্ত দাস নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার আদালতে তোলা হলে ধৃত ৩ ব্যক্তিকেই ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তনু ভুয়ো সংস্থার কর্মী। বাকি দু’জনের জাল সই পাওয়া গিয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই শান্তনু মান্নাকে কলকাতা পুলিশ জেরা করার জন্য ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপরই শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, দেবাঞ্জন যে চক্র চালাতেন, সেখানে এই তিনজনই প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। পুলিশ জানতে পেরেছে, দেবাঞ্জন দেব বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ভুয়ো পরিচয় ভাঙিয়ে যে টাকা নিতেন, সেখানে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত থাকতেন ধৃতরা।

আরও পড়ুন: ক্রমেই খারাপ হচ্ছে মায়ের অবস্থা, ভর্তি নিচ্ছে না হাসপাতাল! হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল ছেলে

অন্যদিকে নতুন করে আরও তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। শুক্রবারই মৌখিক অভিযোগ দায়ের করে গিয়েছিলেন ট্যাংরার এক ব্যবসায়ী। তাঁর কাছ থেকে কমিউনিটি হল তৈরির নামে দেবাঞ্জন ৯০ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তিনি এবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন। পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও দায়ের হয়েছে। যে টাকার বিনিময়ে সংস্থার ১৭২ জন কর্মীকে টিকা দেওয়া হয় এবং উল্লেখযোগ্য ভাবে সেই ভ্যাকসিনের ডোজ়গুলিও ভুয়ো কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে এক ফার্মা কোম্পানিকে টেন্ডার পাওয়ানোর নাম করে ৪ লক্ষ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ দায়ের হয়েছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: দেবাঞ্জন-পর্বের মধ্যেই নতুন আতঙ্ক! আধার নম্বর জালিয়াতি করে টিকা নেওয়ার অভিযোগ

প্রসঙ্গত, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের তদন্ত যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই ডিসি-ডিডির নেতৃত্বে সিট গঠন করেছে লালবাজার। আগেই কসবা থানা থেকে গোটা ঘটনার তদন্তভার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল লালবাজার। শুক্রবার গোটা ঘটনার তদন্তে তৈরি করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল।

Next Article