ক্রমেই খারাপ হচ্ছে মায়ের অবস্থা, ভর্তি নিচ্ছে না হাসপাতাল! হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল ছেলে

SSKM Hospital: শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় মিনুদেবীর। এরপরই সকাল ৮টা নাগাদ আগরপাড়ার বাড়ি থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান মাকে

ক্রমেই খারাপ হচ্ছে মায়ের অবস্থা, ভর্তি নিচ্ছে না হাসপাতাল! হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল ছেলে
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 26, 2021 | 7:12 AM

কলকাতা: শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করাতে এসে প্রায় ১২ ঘণ্টা যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে কাটাতে হল রোগী ও তাঁর পরিবারকে। এই ঘটনায় এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ এনেছে রোগীর আত্মীয়রা। একইসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছে, শহরের সরকারি হাসপাতালগুলির দায়িত্ববোধ নিয়েও। সকাল ৮টা থেকে ওই রোগীকে নিয়ে চরম নাকাল হতে হয় পরিবারকে। অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে আগরপাড়া থেকে এসএসকেএমে মায়ের চিকিৎসা করাতে যান এক যুবক। কিন্তু মাকে নিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে প্রতীক্ষালয়ে বিনা চিকিৎসায় বসে থাকতে হয়।

আগরপাড়ার বাসিন্দা মিনু সরকারের (৫৭) ছেলে দেবায়ন সরকার জানান, চলতি বছরের এপ্রিল মাস নাগাদ তাঁর মায়ের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় মিনুদেবীর। এরপরই সকাল ৮টা নাগাদ আগরপাড়ার বাড়ি থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান মাকে। কিন্তু সেখান থেকে দুপুর ১টা নাগাদ নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মিনুদেবীকে। মিনুদেবীর ছেলের অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ এনআরএস কর্তৃপক্ষ জানায় এখানে চিকিৎসা সম্ভব নয়। এরপরই সেখান থেকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগী ভর্তি নিতে অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ। বলা হয়, পরদিন সকালে আউটডোরে রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে।

আরও পড়ুন: Bengal BJP: বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন? শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন উত্তরের ৩ বিধায়ক

কিন্তু অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে মাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান দেবায়ন। অভিযোগ, কিছুতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ভর্তি নেয়নি। এক প্রকার বাধ্য হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগের প্রতীক্ষালয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শুয়ে থাকেন মিনুদেবী। পরে সংবাদমাধ্যমের হস্তক্ষেপে তৎপর হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ এসএসকেএমের জরুরি বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয় মিনুদেবীকে। যদিও এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।