ভ্যাকসিন নিয়ে তথ্য নেই পুরসভা-স্বাস্থ্য দফতরের কাছে, কসবার ভুয়ো ক্যাম্পে কী দেওয়া হল কয়েক’শ লোককে?

Jun 23, 2021 | 3:21 PM

কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন বলে গত কয়েকদিন ধরে টিকা দেওয়া হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

ভ্যাকসিন নিয়ে তথ্য নেই পুরসভা-স্বাস্থ্য দফতরের কাছে, কসবার ভুয়ো ক্যাম্পে কী দেওয়া হল কয়েকশ লোককে?
কসবার সেই ভুয়ো ক্যাম্পে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী।

Follow Us

কলকাতা: গতকালই ওই ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ভ্যাকসিনও নিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু মিমি নন, প্রত্যেকদিন গড়ে অন্তত ১০০ জন করে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ওই ক্যাম্পে। এলাকার সব দোকানদারদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোথা থেকে এল এত ভ্যাকসিন? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর পুরসভার স্বাসহ্য বিভাগ জানিয়েছে যে তারা কোনও ভ্যাকসিন পাঠায়নি। এ দিন কসবা থানায় এসে একটি অভিযোগ জানিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন স্বাসহ্য বিভাগের এক আধিকারিক।

এলাকার দোকানদারদের ‘সুপার স্প্রেডার’হিসেবে চিহ্নিত করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পাশাপাশি, দূর থেকেও লোক এসে টিকা নিয়ে গিয়েছে এই ক্যাম্প থেকে । গত কয়েকদিনে অন্তত কয়েক’শ লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। পুরসভা বলছে, তারা ভ্যাকসিনের বিষয়ে কিছু জানে না। প্রশ্ন উঠছে তবে কি লুকিয়ে কোথাও থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হয়েছিল। যদি তাই হয়, তাহলে স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও কেন পৌঁছল না সে কথা? নাকি ভ্যাকসিনের বদলে অন্য কিছু দেওয়া হত? তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও প্রশাসন।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। যাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তাঁরা রীতিমতো আতঙ্ক কাঁপছেন। এলাকার দোকানদারা বলেন, ঘটনার কথা শোনার পর থেকেই আতঙ্কিত তাঁরা।

আরও পড়ুন: পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই টিকাকরণ শিবির! গ্রেফতার ‘প্রতারক’ আইএএস

জানা যায়, অনুমতি ছাড়াই চলছিল এই ক্যাম্প।ঘটনার মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল আই কার্ড। এমনকি তাতে কলকাতা পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাঁর থেকে মেলে নীল বাতি যুক্ত গাড়িও। এ প্রসঙ্গে বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ বলেন, “কোনও টিকাকরণ শিবির হলে. টিকা বরো থেকেই যায়। কোথায় ক্যাম্প হচ্ছে সেটা আমাদের জানানো হয়। আমি যখন জানতে পারলাম, এটা স্বাস্থ্য দফতরের আওতায় নয়, তখন আমি স্পেশ্যাল কমিশনারকে ফোন করলাম। দেবাঞ্জন দেব নামে এক ভদ্রলোক এই কাজ করছেন। টিকা কোথা থেকে আসল জানি না। পৌরসভা থেকে নেওয়া হয়নি। টিকা কোথা থেকে এল, সেটা পুলিশ তদন্ত করে বার করবে।”

 

Next Article