পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই টিকাকরণ শিবির! গ্রেফতার ‘প্রতারক’ আইএএস
ক্যাম্পের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল নীল বাতি লাগানো কলকাতা পুরসভার গাড়িও। মঙ্গলবার ওই ক্যাম্পে কলকাতা পুরসভার লোগো ব্যবহৃত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছিল। ভ্যাকসিন শিবিরটি চালানোর অনুমোদন ছিল কিনা, তা পুরসভারই শীর্ষ আধিকারিকরা খোঁজখবর শুরু করেছেন।
কলকাতা: ভ্যাক্সিনেশন শিবির (Vaccination Camp) থেকে আটক ভুয়ো আমলা। কসবা পুলিশের দাবি, ভ্যাক্সিনেশন শিবিরটিই বেআইনি। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) অনুমতি ছাড়াই টিকাকরণ হচ্ছিল ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই শিবিরে। মঙ্গলবার ওই শিবির থেকে আটক করা হয়েছে দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তিকে। জাল পরিচয়পত্র ও গাড়ি-সহ ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
দেবাঞ্জন দেব নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে আইএএস পরিচয় দিয়ে কসবা থানা এলাকার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ভ্যাক্সিনেশন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে। সেখানে কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারের সই রয়েছে। শুধু তাই নয়, দেবাঞ্জনও নিজেকে অ্যাস্টিন্ট্যান্ট কমিশনার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
ক্যাম্পের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল নীল বাতি লাগানো কলকাতা পুরসভার গাড়িও। মঙ্গলবার ওই ক্যাম্পে কলকাতা পুরসভার লোগো ব্যবহৃত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছিল। ভ্যাকসিন শিবিরটি চালানোর অনুমোদন ছিল কিনা, তা পুরসভারই শীর্ষ আধিকারিকরা খোঁজখবর শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: ফোকাস তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের সংক্রমণ মোকাবিলা, আজ প্রথম বৈঠকে ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি
দেবাঞ্জনের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছেন, তা খোঁজ শুরু করেছেন পুলিশ কর্তারা। নীল বাতি লাগানো গাড়ি কিংবা আই কার্ডও কীভাবে তাঁর কাছে এসে পৌঁছল, তাও জানার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার ওই শিবির থেকে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরা কীভাবে নাম নথিভুক্ত করেছেন, সেটাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এই শিবিরের আদৌ কোনও বৈধতা ছিল কিনা।