
কলকাতা: ঘটনার ৬ দিন পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল কসবার আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ। যাঁর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মূল অভিযোগ উঠেছে, তিনিই ছিলেন ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মী। শুধু তাই নয়, কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ওই অভিযুক্ত শাসক দলের ছাত্রনেতা। কান পাতলেই তাঁর প্রভাবের কথা শোনা যায় কলেজের অন্দরে। এবার সেই অভিযুক্তকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হল।
শিক্ষা দফতর তথা বিকাশ ভবন থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই এবার ওই অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও গণধর্ষণের অভিযোগে আরও যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের স্টুডেন্টশিপও বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ তারা আর ওই কলেজে পড়ার সুযোগ পাবে না।
এছাড়া কলেজ ক্য়াম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিনে কলেজের পরিবেশ সম্পর্কে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্তের প্রতিপত্তি যথেষ্ট বেশি ছিল কলেজে। শুধু তাই নয়, কলেজে ভর্তির সময় টাকা নেওয়া হত বলেও অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এদিকে, গণধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্ত এগোচ্ছে দ্রুতগতিতে। নির্যাতিতাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয়বার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হবে।