কসবা: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে দফায়-দফায় উত্তপ্ত কসবা। শনিবারের পর রবিবার রাতেও ইন্দুপার্কে চলল বোমাবাজি। সঙ্গে চলল গুলি। অভিযোগ ওঠে শনিবার রাত্রিবেলা হামলা চালায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। এরপর রবিবার দুপুরে বর্তমান কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় প্রাক্তন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ এবং তাঁর গোষ্ঠী। সেই কারণেই রবিবার রাতে হামলা চলে বলে দাবি এলাকাবাসীর। তবে যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
মূলত, শনিবার রাত্রিবেলা রাজডাঙা ইন্দুপার্ক ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে দফায়-দফায় সেখানে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন এলাকার বাসিন্দারা। সেখানকার কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার দিকে আঙুল তোলেন তাঁরা। কারণ হিসাবে উঠে আসছে, এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা ভোটে খারাপ ফল করেছে। আর সেই দায় লিপিকার গোষ্ঠী ঠেলছে প্রাক্তন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের দিকে। এরপরই অভিযোগ ওঠে, লিপিকা মান্নার দলবল ওই এলাকায় গিয়ে দফায়-দফায় হামলা চালাচ্ছে।
অভিযোগ, রাত্রিবেলা আলো নিভিয়ে বোমাবাজি করা হচ্ছে। মিলেছে গুলির শেল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কসবা থানায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “লিপিকা মান্নার ছেলেরা আমাদের মহিলাদের উপর অত্যাচার করছে। নাইটি ধরে টানছে। পাশের আর এক মহিলাকে মেরেছেন।” সুশান্ত কুমার ঘোষ বলেন, “এই ঘটনা নির্বাচনের রেজাল্ট বেরনোর পর থেকে এই আক্রমণ চলছে। যারা এত বছর ধরে তৃণমূল করছে তাদের উপর বেছে বেছে এই অত্যাচার করা হচ্ছে। সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা ও সুশান্ত ঘোষকে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকতে দেওয়া যাবে না এটাই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ওদের। জেলা সভাপতি দেবাশীষ কুমারকে ঘটনা জানিয়েছি। কিন্তু অজানা কারণ এদেরকে পুলিশ কিছু বলে না।গতকাল থানায় কেন অভিযোগ জানানো হয়েছে এই কারণে দুষ্কৃতী বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমার অনুরোধ, আপনি নিজে ব্যাপারটা দেখুন, নাহলে বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”