কলকাতা: বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই। অভিযোগ ছিল কাকা-জ্যাঠারা সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করেছেন। সেই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। এরপর আবার রোজগারের একমাত্র অবলম্বন বাইকটিকে পুলিশ আটক করলে আর ঠিক থাকতে পারেননি। তখনই কেষ্টপুর উদয়নপল্লীর খাল থেকে ঝাঁপ দেন গৌতম মল্লিক নামে ওই যুবক। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। শনিবার খালের জলে পড়লেও দীর্ঘক্ষণ গৌতমের দেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর রবিবার মৃতের দেহ উদ্ধার।
এ দিকে, আজ সকালেই বাগুইআটি থানার পুলিশ মৃতের বাড়ি থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কালো কালিতে লেখা ওই সুইসাইড নোটে যুবক তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে কাঠগড়ায় তোলেননি। তবে প্রতিবেশীকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, বাইকটি রাখা রয়েছে বাগুইআটি থানায়। সেটা যেন বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। অপরদিকে, মৃতের পরিবারও দাবি করেছে, গৌতম ডেলিভারির কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে পুলিশ তার বাইক আটক করে। সেই অভিমানেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয়, ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই পুলিশের হাতে এসেছে আরও একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গৌতমের মা-বাব দু’জনই মারা গিয়েছেন। থাকার মধ্যে রয়েছেন কাকা-জ্যাঠারা। অভিযোগ, তাঁরা পারিবারিক সম্পত্তি দিতে অস্বীকার করেছিলেন ওই যুবককে। এই নিয়ে আগেই একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বাগুইআটি থানায়। এরপর আজ তারপর তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের থেকে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা যে সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই মানসিক অবসাদ এবং তার জন্যই আত্মঘাতী হয়েছে গৌতম মল্লিক ।