কলকাতা: বাগুইআটি জোড়া খুনে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে আইসি ও আইও-কে। পুলিশি গাফিলতি যে ছিল, সেই তত্ত্ব এবার আরও জলের মত স্পষ্ট। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল TV9 বাংলার হাতে। হাড়োয়া থানা থেকে উদ্ধার হয়েছিল অতনু, অভিষেকের দেহ। অজ্ঞাতপরিচয় দেহ মিলেছে, এই তথ্য পাঠানো হয়েছিল সব থানায়। সূত্রের খবর, ২৩ অগস্ট সেই মেসেজ পায় বাগুইআটি থানাও। দুই ছাত্রের পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করে ২৪ অগস্ট। জানানো হয়, ২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছে তাঁদের ছেলে। বাগুইআটি থানার পিএসআই দুটি অজ্ঞাত পরিচয় দেহ পাওয়ার কথা আইসি ও আইও-কে জানাননি। সেই কারণেই ১৩ দিন পর খবর মেলে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার উঠে এল।
বাগুইআটি জোড়া খুনের তদন্তে পুলিশের ভূমিকায় প্রশাসনিক বৈঠকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যে ক্ষুব্ধ, তা অবশ্য আগেই সাংবাদিকদের সামনে জানিয়ে দিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। বাগুইআটি থানার ওসিকে কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করতে ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই ঘটনায় তদন্ত এখন করবে সিআইডি।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, দোষীকে খুঁজে বার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বাগুইআটিতে জোড়া অপহরণ করে খুনের ঘটনায় ওই থানার ওসি-র কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবারই অবশ্য বাগুইআটি থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা মোর্চা। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পরিবার অবশ্য প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলে আসছিল। পুলিশের কর্তব্যে যে একাধিক জায়গায় ফাঁক থেকে গিয়েছে, এবার তা ধীরে ধীরে আরও স্পষ্ট হচ্ছে বইকি!