
কলকাতা: পরনে স্কার্ট, মুখে মাস্ক, চোখে কালো চশমা। দৃশ্যত বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। তিনি রাতদুপুরে বারান্দার গেটের তালা কাটছেন। সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সে দৃশ্য। পরের দিন সকালে জানা গেল, যে বাড়ির তালা কেটেছিলেন, সেই বাড়িতেই চুরি গেল নগদ আড়াই লক্ষ টাকার নগদ টাকা-সহ কয়েক লক্ষের সোনার গয়না। কেষ্টপুরে এক বাড়িতে চুরির ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রৌঢ়ার বেশেই চুরি করেছে দুষ্কৃতী, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অন্তত এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লির এ ই ব্লকে ব্যবসায়ী তাপারিয়া পরিবারের বাস। জানা যাচ্ছে, বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের সবাই আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যান। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন তাঁদের বৃদ্ধা মা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক বয়স্ক মহিলা বাড়ির তালা কেটে ভেতরে ঢোকেন। ঘরে ঢুকে আলমারির তালা ভেঙে আড়াই লক্ষ নগদ টাকা ও সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরিবারের সদস্যরা ফিরে এলে বৃদ্ধা মহিলা বিষয়টি তাঁদেরকে জানান। পরিবারের পক্ষ থেকে তখনই বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় বিধান নগরের ডিসি(এয়ারপোর্ট জোন) ঐশ্বর্য সাগর। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বাড়ির চারদিক ঘুরে দেখেন। একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বাড়ির পরিচারক। বুধবার রাতে বৃদ্ধার সঙ্গে বাড়িতে ছিলেন পরিচারক। যে সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে, পরিচারক বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশ জানতে পেরেছে, চুরির ঠিক আগের মুহূর্তেই ফোনের সরঞ্জাম কেনার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পরিচারক। তারপরই দেখা যায়, মহিলা বেশে চোর তালা কেটে বাড়িতে ঢোকে। সোজা চলে যায় শোওয়ার ঘরে আলমারিতে। আলমারি খুলে টাকা-গয়না বার করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ব্যাপারটি এতটাই সহজে হয়েছে, যে পুলিশ মনে করছে অভিযুক্ত ওই বাড়ির প্রত্যেকটি জিনিস সম্পর্কে আগে থেকেই অবহিত। পরিচারকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।