কলকাতা: কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশন চলাকালীন ধাক্কাধাক্কি, কলার ধরে টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছিল কাউন্সিলরদের মধ্যে। তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল ও বিজেপির কাউন্সিলররা। মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন কাউন্সিলররা। সেই ঘটনায় তৃণমূলের অসীম বসু ও বিজেপির সজল ঘোষকে শোকজ় করা হয়েছিল। সেই শোকজ় নোটিসের জবাব ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে কলকাতা পুরনিগমের চেয়ারপার্সন মালা রায়ের হাতে। কাউন্সিলরদের জবাবে সন্তুষ্ট হয়েছেন পুরনিগমের চেয়ারপার্সন।
মালা রায় জানাচ্ছেন, “আমি দিল্লি থেকে ফেরার পর আজকেই চিঠি পেয়েছি। দু’জনেই ক্ষমা চেয়েছেন। আপাতত তাঁরা চিঠির উত্তর ভালই দিয়েছেন। পরবর্তীতে আমরা মেয়রের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করব।” তবে একইসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের চেয়ারপার্সন প্রত্যেক কাউন্সিলরকে সতর্ক করে দিয়েছেন। পুরনিগমের ১৪৪ জন জনপ্রতিনিধিকেই সাবধান করে দিয়েছেন, অধিবেশন কক্ষে যেন কাউন্সিলরদের আচরণে শালীনতা বজায় থাকে। তাঁর বক্তব্য, দু’জনকে শোকজ় করার মধ্য দিয়ে বাকিদের কাছেও বার্তা গিয়েছে, এমন আচরণ পরবর্তী সময়ে কোনও কাউন্সিলর করলে সাসপেন্ড পর্যন্ত হতে পারেন তাঁরা।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৬ সেপ্টেম্বর। কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশন চলছিল। সেই সময়েই হঠাৎ তুমুল বাক বিতণ্ডা শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ও বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে। ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি, কলার ধরে টানাটানি, মারমুখী হয়ে ওঠা… কিছুই বাদ যায়নি। শাসক দলের কাউন্সিলর বা বিজেপির কাউন্সিলর, কেউ যেন পিছিয়ে থাকার পাত্র ছিলেন না সেদিন। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায় দেখ… এমনই কাণ্ড বেধে গিয়েছিল সেদিন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পর্যন্ত এগিয়ে আসতে হয় পরিস্থিতি সামলাতে। কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশনে এমন কাণ্ড হয়ত অতীতে কখনও দেখা যায়নি।
সেই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি শোকজ় করা হয়েছিল দুই কাউন্সিলরকে। তৃণমূলের অসীম বসু ও বিজেপির সজয় ঘোষ, উভয়কেই ওদিনের আচরণের পর কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়েছিল। তবে তাঁদের জবাব পেয়ে আপাতত সন্তুষ্ট পুরনিগমের চেয়ারপার্সন মালা রায়।