কলকাতা: পরপর দু’টি হামলার ঘটনা বেহালায় (Behala)। দিনে-দুপুরে একের পর এক হামলার খবর উঠে এসেছে খাস কলকাতা সংলগ্ন এলাকা থেকে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার সেনাটি বাজার এলাকায়। আহতদের নাম রেখা হালদার(৪০) ও লতা হালদার (২০ )
জানা গিয়েছে, রেখা দেবীর মেয়ে হল লতা। গতকাল তারা বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সময় বছর চল্লিশের বাপ্পা নিয়োগী নামে এক ব্যক্তি আচমকাই ধারালো রড ও কাটারি দিয়ে আঘাত করতে থাকে মা ও মেয়েকে।
প্রথমে তাদের বাড়ি থেকে চিৎকারের আওয়াজ শুনে কিছুটা অবাক হয়ে পড়ে এলাকার মানুষজন। এরপর বিপদের আঁচ পেয়ে সেখানে চলে আসেন পাড়া-প্রতিবেশী। আর তাদের আসতে দেখেই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
মা ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পাড়া প্রতিবেশীরা সঙ্গে-সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়। বেহালা থানার পুলিশ এসে মা ও মেয়েকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে অভিযুক্তর দিদির বাড়ি ওই এলাকাতেই। হামলার পর সেখানেই লুকিয়ে পড়ে অভিযুক্ত। তবে পুলিশ এসে হাতেনাতে গ্রেফতার করে তাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাপ্পা এই পাড়াতেই আগে থাকত। এখন অন্য জায়গায় থাকে। সে ওই মহিলা অর্থাৎ রেখা হালদারের পরিচিত। এখন মা ও মেয়ে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তবে মেয়ে লতা হালদারের শরীরের বিভিন্ন অংশ মিলিয়ে মোট পঁয়ত্রিশটি সেলাই পড়েছে। কী কারণে এই হামলা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঠাকুরপুকুর এলাকার। এখানেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্বামী ও স্ত্রীকে হামলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
আহতদের নাম অমিত দিন্দা ও সীমা দিন্দা। জানা গিয়েছে, গতকাল রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ঠাকুরপুকুর বাজার থেকে থেকে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী-স্ত্রী। সেই সময় ঠাকুরপুকুর পানে আরার সামনে আসার পরই হঠাৎ বছর পঁয়ত্রিশের সঞ্জু আরা নামে এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় দম্পতির উপর। অমিতবাবুর গলায় ও সীমাদেবীর মুখে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এদিকে, তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এলাকায় ছুটে এসে দেখেন দু’জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে, স্থানীয় যুবকরা আততায়ীকে ধাওয়া করেন। অভিযোগ, আততায়ী নাকি সেই সময় হুমকি দিতে থাকে দু’জনকে মেরে এসেছি, সামনে কেউ এলে ফের মারব। এরপরই নিজের বাড়িতে ঢুকে যায় অভিযুক্ত।
পরবর্তীকালে স্থানীয় লোকেরা আততায়ী সঞ্জু সাহার ঘরের বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেয়। খবর দেওয়া হয় ঠাকুরপুকুর থানায় । আহত দু’জনকে উদ্ধার করে ঠাকুরপুকুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঠাকুরপুকুর থানা পুলিশ আততায়ীকে গ্রেফতার করে ।
তবে কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও পরিষ্কার নয় ।তবে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। এর আগেও বেশ কয়েকজনের উপর আক্রমণ চালিয়েছে।