
কলকাতা: শূন্য থেকে তুলে আনার লড়াইতে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কাঁধেই এখন গুরুভার। ঠিক ‘এমার্জেন্সি’র পরই যাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু, তিনি আর পিছন ফিরে তাকাননি। দলে ক্রমে ক্রমে প্রথম সারিতে উঠে এসেছেন। অনেকেই জানেন না খুব কম বয়স থেকে রাজনীতি করা মহম্মদ সেলিমের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
প্রথমে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI), তারপর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI)-এ নেতৃত্ব দেন মহম্মদ সেলিম। এরপর রাজ্য কমিটি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি, সব ক্ষেত্রেই দায়িত্ব পেয়েছেন। সেলিমের পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতির পথ ছিল একেবারে সমান্তরাল।
খিদিরপুরে হক পরিবারের ৯ সন্তানের একজন মহম্মদ সেলিম। ওই এলাকারই সেন্ট বার্নাবাস স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। হাইস্কুল পর্যন্ত পড়াশোনা সেখানেই শেষ করেন তিনি। এরপর দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করতে যোগ দেন কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে। সেইসময়ই ছাত্র রাজনীতিতে উত্থান সেলিমের। এমার্জেন্সির ঠিক পরই কলেজ ইউনিয়নের ভোটে জিএস হন সেলিম। কলেজে পড়াকালীন নেতৃত্ব দেওয়ার শুরু তাঁর।
মৌলানা আজাদ কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়ে সেলিম যোগ ভর্তি হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে। স্নাতকোত্তরের পাঠের সময়ই নীলোৎপল বসু. মানব মুখোপাধ্যায়ের পর ভবিষ্যৎ বাম নেতাদের সঙ্গে আলাপ হয় সেলিমের। এরপর যুব
মৌলানা আজাদ কলেজ দর্শনের ছাত্র। সেই সময়ই এসএফআই-এর সদস্য হিসেবে যোগ দেন তিনি। এমার্জেন্সির ঠিক পরই কলেজ ইউনিয়নের ভোটে জিতে জিএস হন তিনি। রাজনীতি তাঁর সঙ্গ ছাড়েনি। যাদবপুর থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন সেলিম। এরপর ডিওয়াইএফআই-এর কলকাতা জেলার প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ৬ বছরের জন্য সেই পদে ছিলেন তিনি।
তারপর একের পর এর পদ সামলেছেন সেলিম। দুটি টার্মে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। পরে লোকসভা, বিধানসভায় একাধিকবার লড়ই করেন। ২০০১-এ রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। দু’বার বিধায়ক, দু’বার সাংসদ হন সেলিম। শেষবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও লড়েছিলেন সেলিম, তবে জেতেননি। রাজ্য সম্পাদক হিসেবে আপতত দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
২৪-এর ভোটের আগে যে হলফনামা তিনি জমা দিয়েছেন, সেখানেই উল্লেখ করেছেন, ১৯৮০ সালে যাদবপুর থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর হন তিনি। এটাই তাঁর সর্বোচ্চ ডিগ্রি। হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে যে পেনশন পান, সেটাই সেলিমের আয়। তাঁর স্ত্রী রোজিনা খাতুন পেশায় চিকিৎসক। হলফনামার তথ্য বলছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ সার্ভিসের মেডিক্যাল অফিসার তিনি।