Partha Chatterjee: গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্নেমশাই তথা জেল ফেরত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থর কোয়ালিফিকেশন কী?

Partha Chatterjee education qualification: আদালতে দাঁড়িয়ে তাঁর বংশগৌরবের কথা বলতে গিয়ে শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি যে শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্নে, সেই পরিচয় তুলে ধরেছেন। নিজের বংশগৌরবের কথা জানাতে শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? নির্বাচনী হলফনামায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে কী জানিয়েছেন?

Partha Chatterjee: গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্নেমশাই তথা জেল ফেরত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থর কোয়ালিফিকেশন কী?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়Image Credit source: TV9 Bangla

Dec 23, 2025 | 2:09 AM

‘আমি দুঃখকে সুখ ভেবে বইতে পারি, যদি তুমি পাশে থাকো।’ কিশোর কুমারের কণ্ঠের জাদুতে আজও বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় গানগুলির একটি এই গান। যাঁর কলমের ছোঁয়ায় এই হৃদয়স্পর্শী গান পেয়েছে বাঙালি, তিনি গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অসংখ্য গানই বাঙালির হৃদয় ছুঁয়ে যায়। গত প্রায় সাড়ে তিন বছরে গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অন্য কারণে বাঙালি বেশ কয়েকবার শুনেছে। সেই নাম শোনা গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। যিনি আদালতে দাঁড়িয়ে তাঁর বংশগৌরবের কথা বলতে গিয়ে শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি যে শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্নে, সেই পরিচয় তুলে ধরেছেন। নিজের বংশগৌরবের কথা জানাতে শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? নির্বাচনী হলফনামায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে কী জানিয়েছেন?

বেহালা পশ্চিমের গত ২৫ বছরের বিধায়ক পার্থর জন্ম ১৯৫২ সালের ৬ অক্টোবর। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালে নিউ আলিপুর মাল্টিপার্পাস স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর আশুতোষ কলেজে ইকোনমিকস অর্নাসে ভর্তি হন। ১৯৭৩ সালে স্নাতক হন। এরপর ১৯৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাশ করেন। এমবিএ করার পাশাপাশি আইন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি করেন। বছর পাঁচেক পর ব্রিটেনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোস্যাইটি থেকে পিএমআর করেন। ২০১৫ সালের রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিকসে ডক্টরেট করেন তিনি।

রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নজর কাড়ার মতো। তবে শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর পিএইচডি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীরাও খোঁচা দিতে ছাড়েনি।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর শিক্ষা দফতর থেকে তাঁকে সরানো হলে মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন পার্থ। ২০২২ সালের ২২ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। ২ বছর ৩ মাসের বেশি পর জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তবে জেলে থাকাকালীন আদালতে একাধিকবার মামা শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিতে দেখা গিয়েছে পার্থকে। মামার কথা বলে জামিনের পক্ষে সওয়ালও করেন। জামিন পেতে প্রয়াত মামাকে ‘পাশে’ টেনে এনেছেন। তিনি দাবি করেন, কোনও অন্যায় করেননি।