কলকাতা: ভিন রাজ্যে দলের বিস্তার। দলকে আক্ষরিক অর্থে সর্বভারতীয় চেহারা দেওয়া। আর জাতীয় স্তরে মোদী বিরোধিতার মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আরও বেশি করে সামনে আনার চেষ্টা। সেই সূত্রে নানা অবিজেপি দলগুলির সঙ্গে বন্ধুতায় শান- ঠিক এই লক্ষ্যেই এগোতে চাইছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
বিধানসভায় এই বিপুল জয়ের পর তৃণমূলকে নিয়ে অনান্য রাজ্যের অবিজেপি দলগুলির আগ্রহ বেড়েছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর লক্ষ্য কী!
বিশ্লেষকরা বলছেন, লক্ষ্য ২০২৪। আর তাকে সামনে রেখেই নরেন্দ্র মোদী বিরোধী হাওয়াকে পালে টেনেই সারা ভারতে বিস্তারলাভ করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর পূর্বাঞ্চল-সহ এর আগেও বাংলার বাইরে নানা রাজ্যে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। ভিন রাজ্যে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়কও হয়েছেন অনেকে। কিন্তু এই প্রার্থীরা সকলেই সেই রাজ্যের কোনও প্রতিষ্ঠিত দলের বিক্ষুব্ধ অংশ।
পরে তাঁরা তৃণমূলকে ছেড়ে গিয়েছেন। আর তৃণমূল সেই রাজ্যের সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। দায়িত্ব নিয়ে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে চাইছেন অভিষেক। বাংলার বিধানসভা ভোটের ফল দেখে ভিন রাজ্যের অবিজেপি শিবিরে একটা কথা ইদানীং শোনা যাচ্ছে- মোদী শাহকে যে রুখে দেওয়া যেতে পারে, তা করে দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের গুরুত্ব বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গে বজ্রাঘাত-বিপর্যয়! একই দিনে নিহত ২৭ জনের পরিজনদের পাশে দাঁড়াতে তৎপর অভিষেক, এগিয়ে এল কেন্দ্রও
‘ব্র্যান্ড মমতা’য় শান দিয়ে এই সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে চাইছেন অভিষেক। অভিষেক দাবি করেছেন, এক মাসের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে প্রাথমিকভাবে কোন কোন রাজ্যে দলের সংগঠন তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগোবে তৃণমূল। কিন্তু সেই রাজ্যের অবিজেপি দলগুলির সঙ্গে তৃণমূল জোটে যাবে কিনা, সে প্রসঙ্গে এড়িয়ে গিয়েছেন অভিষেক। একুশের ভোটে মমতার সঙ্গে পেরে ওঠেননি মোদী। ‘২৪ এর ভোটে জাতীয় পরিসরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কি টক্কর দিতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. চ্যালেঞ্জ এখন অনেকটাই অভিষেকের কাঁধে!