কলকাতা: এটিএম জালিয়াতির তদন্তে এবার জাল গোটাচ্ছে পুলিশ (ATM Fraud Case)। ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ডার্ক ওয়েবে বিদেশ থেকে বিশেষ যন্ত্র ব্ল্যাক বক্স (Black Box) এনে তার মাধ্যমে চলত জালিয়াতি।
শহরের এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুরাট থেকে গ্রেফতার মনোজ গুপ্তা, নবীন গুপ্তা। এঁরা মূলত দিল্লির বাসিন্দা। কলকাতা থেকে গ্রেফতার বিশ্বদীপ রাউত ও আব্দুল সইফুল মণ্ডল। তাদের জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সারাটা দিন মোবাইলের দোকানেই ব্যস্ত থাকত। কিন্তু তারই ফাঁকে খোঁজ রাখত শহরের কোন এটিএম কাউন্টারে নেই নিরাপত্তা রক্ষী। এলাকা চষে নিত বিশ্বদীপ । আর পুরো ‘ডিটেইল’ দিয়ে দিত বাকি দুই সঙ্গীকে!
সুরাইটের দুই যুবক মূলত ব্ল্যাক বক্সের মাধ্যমে জালিয়াতি করত। মাথা খাটাত ওরা। আর তাদের লোকাল গাইডেন্স হিসাবে কাজ করত বিশ্বদীপ ও আব্দুল। তাঁদের নিরাপদ জায়গায় হোটেল খুঁজে দিত। এলাকা চষে খোঁজ দিত নিরাপত্তাবিহীন এটিএমের ঠিকানাও। কমিশনের বিনিময় নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়াও দিয়েছিল তারা।
সিসিটিভির ফুটেজকে হাতিয়ার করে পুলিশের র্যাডারে চলে আসে কসবার মোবাইল ব্যবসায়ী বিশ্বদীপ। আর এসবের মাঝেই তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে মোটা অঙ্কের টাকা। সেই টাকার লেনদেনের সূত্র ধরে তদন্ত এগোতেই খুলতে থাকে জট! ধৃতদের জেরা করে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।