কলকাতা: ফের মা ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা। বাইক থেকে ছিটকে নীচে পড়ে মৃত্যু হল যুবকের। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ঘটনা। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, বাইক নিয়ে মা ফ্লাইওভার হয়ে এজেসি বোস রোডের দিকে এগোচ্ছিল বাইকটি। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাইক চালক ব্রেক করায় পিছনের আরোহী বেসামাল হয়ে ছিটকে ফ্লাইওভার থেকে নীচে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাত ৩.৩০ মিনিটের ঘটনা। সেসময় রাস্তায় সেই অর্থে গাড়ি কম। লরি চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীও কম। তবে ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, বাইকটি ঝড়ের গতিতে এজেসি বসু রোডের দিকে যাচ্ছিল। স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল বাইকের গতিবেগ। সামনে কোনও গাড়ি বোধহয় চলে এসেছিল অথবা কোনও কারণে ব্রেক কষেছিলেন চালক। পিছনের আরোহী টাল সামলাতে পারেননি। চালক কিছু বোঝার আগেই বাইক থেকে ছিটকে ফ্লাইওভারের রেলিং টপকে নীচে পড়ে যান আরোহী। দৃশ্য দেখে ছুটে আসেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। তাঁরাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মা ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা হামেশাই হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বাইক গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর ট্রাফিক পুলিশ প্রশাসন। চালকদেরও সচেতন করা হয়। এমনিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভোর ছ’টা পর্যন্ত মা ফ্লাইওভার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নজরদারি এড়িয়ে তাতেও যে গাড়ি-বাইক উঠে যাচ্ছে, তার প্রমাণ মিলল এদিন। ৪ এপ্রিল থেকে মা ফ্লাইওভার রাত সাড়ে এগারোটার পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। লোহার ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়। ভোর ৬ টা পর্যন্ত ফ্লাইওভারের ওপর যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাতেই প্রশ্ন বাইকটা উঠল কীভাবে ফ্লাইওভারে? সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।