নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার ফিরহাদ-শোভন-সুব্রত-মদন

May 17, 2021 | 10:22 AM

নারদ কাণ্ডে (Narada Case) গ্রেফতার করা হল ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)।

Follow Us

কলকাতা: নারদ কাণ্ডে (Narada Case) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সোমবার সকালে কার্যত বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। চেতলা মোড়ে এখন মারাত্মক উত্তেজনা। একই ভাবে  নাটকীয়ভাবে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মদন মিত্র (Madan Mitra), শোভন চট্টোপাধ্যায় ও  (Sovandeb Chattopadhyay) সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও (Subrata Mukherjee)। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

এই খবর যখন সম্প্রচারিত হচ্ছে, তার ঠিক মিনিট পনেরো আগে বিনা নোটিসে ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই গোয়েন্দারা। পরিকল্পনা মাফিক তাঁর বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ফিরহাদের সঙ্গে কথা বার্তা বলেন গোয়েন্দারা। তারপরই তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। ফিরহাদ বলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজই চার্জশিট পেশ করতে চলেছে সিবিআই, আর তার আগেই রীতিমতো নাটকীয়ভাবে এই গ্রেফতারি। উল্লেখ্য চার্জশিটে নাম রয়েছে অপরূপা পোদ্দার ও এসএমএইচ মির্জারও।

চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে

সিবিআইয়ের বক্তব্য, নারদ কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফিরহাদকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।  তবে স্পিকারের অনুমতি ছাড়া কীভাবে বিধায়কদের গ্রেফতার করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সেক্ষেত্রে উল্লেখ্য, তৎকালীন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। সম্প্রতি রাজ্যপালের তরফে নারদ কাণ্ডে চার জন অর্থাৎ ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমোদন মিলেছিল। তবে এই তালিকায় যেহেতু বর্তমানে তিন জন অর্থাৎ ফিরহাদ, সুব্রত ও মদন মিত্র বিধায়ক, তাই বিধানসভার স্পিকারের কাছেও অনুমতি চাওয়া হয়। তদন্তের স্বার্থে সেই অনুমতি দিয়েও দেন স্পিকার।

তারপরই তৎপর হয়ে ওঠে সিবিআই। আচমকাই সোমবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল পৌঁছে যায়  মদন-শোভনের বাড়িতে। তাঁদেরকে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, অপর দল আগাম নোটিস না দিয়েই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে হাজির হয়। গোয়েন্দাদের একটি টিম যায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও।

নিজস্ব চিত্র (নিজাম প্যালেসে ঢুকলেন ফিরহাদ হাকিম)

মিনিট পনেরো কথা বলার পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। সিবিআই বলছে, নারদ মামলায় চার্জশিট চূড়ান্ত হওয়ার আগেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন আর তার জন্যই গ্রেফতার। এ প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, “মোদী-অমিত শাহর নির্দেশে এসব হচ্ছে। আদালতে মোকাবিলা হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কাজ। নির্বাচনে হেরে যাওয়াতেই এমনটা করল ওরা। সিবিআই একটা খাঁচাবন্দি তোতা।”


এদিকে, ঘটনার খবর চাউর হতেই ফিরহাদের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে যান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পথ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এই মুহূর্তে চরম উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। বাহিনীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মী সমর্থকরা।

কলকাতা: নারদ কাণ্ডে (Narada Case) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সোমবার সকালে কার্যত বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। চেতলা মোড়ে এখন মারাত্মক উত্তেজনা। একই ভাবে  নাটকীয়ভাবে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মদন মিত্র (Madan Mitra), শোভন চট্টোপাধ্যায় ও  (Sovandeb Chattopadhyay) সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও (Subrata Mukherjee)। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

এই খবর যখন সম্প্রচারিত হচ্ছে, তার ঠিক মিনিট পনেরো আগে বিনা নোটিসে ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই গোয়েন্দারা। পরিকল্পনা মাফিক তাঁর বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ফিরহাদের সঙ্গে কথা বার্তা বলেন গোয়েন্দারা। তারপরই তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। ফিরহাদ বলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজই চার্জশিট পেশ করতে চলেছে সিবিআই, আর তার আগেই রীতিমতো নাটকীয়ভাবে এই গ্রেফতারি। উল্লেখ্য চার্জশিটে নাম রয়েছে অপরূপা পোদ্দার ও এসএমএইচ মির্জারও।

চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে

সিবিআইয়ের বক্তব্য, নারদ কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফিরহাদকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।  তবে স্পিকারের অনুমতি ছাড়া কীভাবে বিধায়কদের গ্রেফতার করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সেক্ষেত্রে উল্লেখ্য, তৎকালীন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। সম্প্রতি রাজ্যপালের তরফে নারদ কাণ্ডে চার জন অর্থাৎ ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমোদন মিলেছিল। তবে এই তালিকায় যেহেতু বর্তমানে তিন জন অর্থাৎ ফিরহাদ, সুব্রত ও মদন মিত্র বিধায়ক, তাই বিধানসভার স্পিকারের কাছেও অনুমতি চাওয়া হয়। তদন্তের স্বার্থে সেই অনুমতি দিয়েও দেন স্পিকার।

তারপরই তৎপর হয়ে ওঠে সিবিআই। আচমকাই সোমবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল পৌঁছে যায়  মদন-শোভনের বাড়িতে। তাঁদেরকে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, অপর দল আগাম নোটিস না দিয়েই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে হাজির হয়। গোয়েন্দাদের একটি টিম যায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও।

নিজস্ব চিত্র (নিজাম প্যালেসে ঢুকলেন ফিরহাদ হাকিম)

মিনিট পনেরো কথা বলার পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। সিবিআই বলছে, নারদ মামলায় চার্জশিট চূড়ান্ত হওয়ার আগেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন আর তার জন্যই গ্রেফতার। এ প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, “মোদী-অমিত শাহর নির্দেশে এসব হচ্ছে। আদালতে মোকাবিলা হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কাজ। নির্বাচনে হেরে যাওয়াতেই এমনটা করল ওরা। সিবিআই একটা খাঁচাবন্দি তোতা।”


এদিকে, ঘটনার খবর চাউর হতেই ফিরহাদের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে যান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পথ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এই মুহূর্তে চরম উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। বাহিনীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মী সমর্থকরা।

Next Article