কলকাতা: করোনা টিকা নিলেন কলকাতার সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা (Anuj Sharma)। পুলিশ কমিশনারের (CP) পদ থেকে বিদায় নেওয়ার ঠিক আগেই এদিন ভবানীপুর পুলিশ হাসপাতালে করোনা টিকা নিলেন ১৯৯১ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার। টিকা নিয়ে এরপর সোজা লালবাজার চলে যান তিনি। সেখানে কলকাতার নতুন নগরপাল সৌমেন মিত্রকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান অনুজ শর্মা। নয়া পুলিশ কমিশনারকে বুঝিয়ে দেন তাঁর কার্যভার।
সিআইডি’র এডিজি পদে যাওয়ার আগে সোমবার করোনা টিকা নিলেন অনুজ শর্মা। প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের ইতিমধ্যেই করোনা টিকা দেওয়ার শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় রাজ্যের কয়েক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনা টিকা নিয়েছেন। এবার দ্বিতীয় দফায় পুলিশ কর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই ছিলেন কলকাতা পুলিশের সদ্য প্রাক্তন সিপি অনুজ শর্মা।
আরও পড়ুন: ভোট-আবহে হিংসা রুখতে বাংলার পুলিশকে পাঠ দেবে কমিশন
করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে যাঁরা লড়েছেন ইতিমধ্যে তাঁদেরকে কোভিশিল্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর মার্চে লকডাউন শুরু হওয়া থেকে করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছে কলকাতা পুলিশ। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, চার হাজারের বেশি পুলিশ কর্মী করোনা সংক্রমিত হন। অনুজ শর্মারও করোনা হয়েছিল। সোমবার থেকে কলকাতা পুলিশের অফিসার ও কর্মচারীদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই কর্মসূচির সূচনা হল বিদায়ী পুলিশ কমিশনারকে দিয়ে। সহকর্মী ও অধস্তনদের ভয় বা আশঙ্কা কাটানোর জন্য় সবার আগে করোনা টিকা নিলেন অনুজ শর্মা। কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে সেই ছবি পোস্ট করা হয়। এছাড়া নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও করোনা টিকা নেওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন।
Got vaccinated today! pic.twitter.com/Tyax7YphwO
— Anuj Sharma IPS (@Anujrox) February 8, 2021
১৯৬৮ সালে লখনউয়ে জন্ম অনুজ শর্মার। পড়াশোনাও সেখানে। পেশা জীবন শুরু নয়ের দশকে। ২০০৬ থেকে ‘০৮ সাল বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন তিনি। এরপর আইজিপি, এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) সহ একাধিক পদ সামলেছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে রাজেশ কুমারকে দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন। ভোটপর্ব শেষ হলে আবার সে বছরেরই ২৬ মে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ফেরেন তিনি। এবারও বিধানসভা ভোটের সময় নির্বাচন কমিশন কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে সরাতে পারে বলে মনে করছে নবান্ন। তাই আগেভাগেই তাঁকে সিপির পদ থেকে সরিয়ে সিআইডি’র এডিজি পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।