ভোট-আবহে হিংসা রুখতে বাংলার পুলিশকে পাঠ দেবে কমিশন
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের কী কী নির্দেশিকা রয়েছে তাও জানানো হবে পুলিশকর্মীদের।
কলকাতা: ভোটের সময় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম থেকেই কড়া নজর নির্বাচন কমিশনের। ভোটের আগের হিংসা রুখতে কমিশন বেশ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। ভোটের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে নানা খুঁটিনাটি নিয়ে সোমবার পুলিশ কর্তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণে নজর যেদিকে
* মূলত এই প্রশিক্ষণে পুলিশকর্তাদের বোঝানো হবে কেমনভাবে খরচে নজরদারি করতে হবে। * ভোটের আগে বা ভোটের সময় কোনও অভিযোগ এলে কী ভাবে তা সামাল দিতে হবে। কী পদ্ধতিতে অভিযোগের তদন্ত হবে। * কোনও রাজনৈতিক দলের সভা, সমিতি বা মিছিলে অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে নজর দিতে হবে। * ভোটের আগে এবং ভোটের সময়ে কোভিড সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা করতে হবে
ভোট মানেই কালো টাকার ‘অনুপ্রবেশ’, বেআইনি মদের রমরমা। আর এগুলি আটকাতে পুলিশই কমিশনের একমাত্র ঢাল। পাশাপাশি ভোটারদের বুথমুখী হওয়ার আত্মবিশ্বাস জোগানোও পুলিশের কাজ। তারা নিরাপত্তার দিকটি সুনিশ্চিত করলে, তবেই আরও বেশি করে বুথমুখী হবেন ভোটাররা। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ দূর করে ভোটারকে আত্মবিশ্বাস দেওয়া, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা পুলিশের ভোট-কাজের অঙ্গ। এদিনের প্রশিক্ষণে সেসবদিকও তুলে ধরা হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিজেপির নজরে বীরভূম, কাল নাড্ডা, পরপর রাজনাথ, যোগী, স্মৃতি ইরানিরা
সোমবার ভাষা ভবনে ২৮ পুলিশ জেলা ও সাত পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের কী কী নির্দেশিকা রয়েছে তাও জানানো হবে পুলিশকর্মীদের। শনিবার রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্তরে একঝাঁক রদবদল হয়। কলকাতার পুলিশ কমিশনার হন সৌমেন মিত্র। অনুজ শর্মাকে সিআইডির এডিজি করা হয়। এডিজি আইন শৃঙ্খলা হন জাভেদ শামিম। বারাকপুরের কমিশনার হন অজয় নন্দা। এই পরিবর্তনের ৪৮ ঘণ্টা পরই ঘটনাচক্রে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করল নির্বাচন কমিশন।