Dropout in School: ‘আজও বাপের নাম লিখতে পারে না, কী করছেন মাস্টাররা?’ স্কুলছুট বাড়তেই ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকেরা
Dropout in School: একাধিক স্কুলে শিক্ষকের অভাব। শিক্ষকের অভাবেই ধুঁকছে বিজ্ঞান বিভাগ। গোঘাটের পশ্চিমপাড়া হাইস্কুল, পাবা হাইস্কুল-সহ একাধিক স্কুলে একই সমস্যা। বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা যায়নি ল্যাবরেটরির অভাবে।
আরামবাগ: আসছে না অর্থ। সরকারি স্কুলে শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন। পড়াশোনাই একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে। স্কুলে সরকারি অনুদান না মেলায় কেমিস্ট্রি বায়োলজি ও ভূগোলের ল্যাবটারি চালু করা যায়নি। আগ্রহ থাকলেও বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পারছে না এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। বাধ্য হয়েই দশ বারো কিলোমিটার দূরের স্কুলে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে যেতে হচ্ছে। এই ছবিই দেখা যাচ্ছে আরামবাগে। চিন্তায় পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা।
একাধিক স্কুলে শিক্ষকের অভাব। শিক্ষকের অভাবেই ধুঁকছে বিজ্ঞান বিভাগ। গোঘাটের পশ্চিমপাড়া হাইস্কুল, পাবা হাইস্কুল-সহ একাধিক স্কুলে একই সমস্যা। বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা যায়নি ল্যাবরেটরির অভাবে। অন্যদিকে রতনপুর হাই স্কুলে অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে চলছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগ। চূড়ান্ত অচলাবস্থা প্রায় প্রতিটা স্কুলেই। এক প্রকার বাধ্য হয়েই কলা বিভাগে ভর্তি হচ্ছেন পড়ুয়ারা। নকুণ্ডা কাত্তায়নি হাইস্কুলে তো আবার উদ্বেগ আরও বেশি। এখানে ২০১২ সালে ভূগোলের ল্যাবরেটরি তৈরির সিদ্ধান্ত হলেও গ্রান্ট এখনও মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে।
এলাকার অভিভাবকরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন শিক্ষকদের উপর। এলাকার বাসিন্দা বলছেন, “৫-১০ বছর ছেলেমেয়ারা স্কুলে যাচ্ছে। আজও বাপের নামটাও ল করতে পারে না। নিজেদের নামটাও বলতে জানে না। শিক্ষকরা তো কিছুই করেনি। দিদিমণিদের কিছু জিজ্ঞেস করলে বলে আমি জানলে তবে তো বলব!” কিন্তু, পরিস্থিতির বদল কবে? কবে আবার উদ্বেগের মেঘ কাটিয়ে হাসিমুখে স্কুলে যেতে পারবে পড়ুয়ারা? উত্তর আপতত কারও কাছেই নেই। তবে সমস্যা যে গুরুতর তা মানছেন শিক্ষকদের বড় অংশেও। সকলেই তাকিয়ে সরকারের দিকে।