কলকাতা: ‘হিন্দি সিরিয়ালের দয়ার ভূমিকায় ননসেন্স পুলিশ।’ মুচিপাড়ার সংঘর্ষে ক্লাব ভাঙচুর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে সজল ঘোষের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে চরম কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)।
দিলীপ ঘোষ বলেন, “সজলের গ্রেফতারের ঘটনা সিনেমা সিরিয়ালের ঘটনার মত। অথচ কেউ ধর্ষিতা বা খুন হলে পুলিশ এত তৎপর হয় না। বিরোধীদের ট্যুইট দেওয়ার জন্য ফলস কেস দেওয়া হয়েছে। এই রকম ফলস ৩৫ হাজার কেস আছে। পুরো বিষয়টি দিল্লিতে জানানো হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক লড়াইয়ে শুক্রবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুচিপাড়া এলাকা। তবে তারও আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অশান্তি দানা বাঁধতে শুরু করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মুচিপাড়া থানার বিপরীতে থাকা বিজেপির একটি ক্লাবে এই সংঘর্ষ বাঁধে। বিজেপির দাবি, গতকাল রাতে বিনা প্ররোচনায় একদল তৃণমূল কর্মী সমর্থক ওই ক্লাবে ঢুকে নির্বিচারে মারধর করে। কোনও কারণ ছাড়াই হামলা চালানো হয়। জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে।
এই পরিস্থিতির মাঝেই সজল ঘোষ নামক এক স্থানীয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুটি এফআইআর দায়ের করে তৃণমূল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সজল ঘোষকে শুক্রবার গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। তা নিয়ে অশান্তি আরও বাড়ে।
শুক্রবার বিকেলে মুচিপাড়ার থানার পুলিশ ওসির নেতৃত্বে সজল ঘোষের বাড়িতে পৌঁছয়। কিন্তু পুলিশ দরজা খুলতে বললে সজল বেঁকে বসেন। ঘরের ভেতরে থাকলেও দরজা আটকে রাখেন সজল। তারপরই দরজা ভাঙতে উদ্যত হয় মুচিপাড়া থানার পুলিশ। সেই মতো লাথি বৃষ্টি চালিয়ে সজল ঘোষের বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেফতারির পর এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “হিন্দি সিরিয়ালের পুলিশের মতো ভূমিকা নিয়েছে পুলিশ। ননসেন্স।”
মুচিপাড়ার ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত রয়েছে পরিস্থিতি। বিজেপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে রাস্তা নামেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। শনিবারই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের সামনে বড় করে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। মিথ্যা মামলায় সজল ঘোষকে গ্রেফতার কেনো, মুচিপাড়া পুলিশ জবাব দাও, ব্যানারে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির।
যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেউ মহিলাদের হাত ধরে টানলে তাকি কি পুলিশ দুধ খাওয়াবে?” এ প্রসঙ্গে আরও একবার রাকেশ সিং ও পামেলা গোস্বামীর কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। আরও পড়ুন: রক্তে ভাসছে স্ট্রেচার, শরীরের একাধিক জায়গায় মাংস খুবলে গিয়েছে! মধ্যরাতে কিশোরকে হাসপাতালে আনলেন তিন সঙ্গী…