
১৯২১ সালে যে স্বপ্নের বীজ বুনেছিলেন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার স্যার হার্লে হিউ ডালরিম্পল-হে, ২০২৪-এ দাঁড়িয়ে তা এখন নিত্যদিনের বাস্তব। হাওড়া ব্রিজের জ্যামে বা লঞ্চ ঘাটের সেই দীর্ঘ লাইনে আর দাঁড়াতে হবে না। গঙ্গার ১৬ মিটার নিচ দিয়ে মেট্রো ছুটছে ঝড়ের গতিতে।
বাসে হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা আসতে লাগত কম করে ৪০ মিনিট, আর মিছিল থাকলে তো কথাই নেই—ঘন্টার কাঁটা পার। সেখানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (গ্রিন লাইন) আপনাকে পৌঁছে দিচ্ছে মাত্র ৮ মিনিটে। ভাবা যায়? গঙ্গার তলার ৫২০ মিটার পথ পেরোতে সময় লাগছে মাত্র ৪৫ সেকেন্ড। টানেলের এই অংশে জ্বলছে নীল আলো, যা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—আপনি এখন গঙ্গার নিচে!
মাটির প্রায় ৩৩ মিটার গভীরে তৈরি হাওড়া মেট্রো স্টেশন এখন দেশের গভীরতম স্টেশন। শিয়ালদহ এবং হাওড়া—দেশের ব্যস্ততম দুই স্টেশনকে জুড়ে দিয়েছে এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডর।
এসপ্ল্যানেড স্টেশনে নামলেই আপনি ব্লু-লাইন (দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ) ধরার সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ, হাওড়া থেকে নেমে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে উত্তর বা দক্ষিণ কলকাতায়। আর সব শেষে বউবাজারের বিপর্যয় কাটিয়ে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের সঙ্গে পুরো করিডর জুড়ে যাওয়ার পর এই গ্রিন লাইনই হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতার লাইফলাইন।