কলকাতা: আমফানের পর থেকে খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা (Dharmatala) রুটের ট্রাম চলাচল বন্ধ। মূলত খিদিরপুর ট্রাম ডিপোর সামনে ট্রাম লাইনের একটি তারের উপর গাছ পড়ে গিয়েছিল। সেই তার কেটে পড়ে যায়। এখনও অবধি তা সারাই করা হয়নি। মাঝে লকডাউন গিয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থেকেছে ট্রাম চলাচল। কিন্তু এই রুটে এখনও খরা কাটেনি। শুক্রবার খিদিরপুরে গিয়েছিলেন পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেখানে তিনি জানান, খুব শিগগিরি এ সংক্রান্ত রিপোর্ট তিনি রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) পাঠাবেন। তারপর সরকারের তরফে যেমন নির্দেশ আসবে সেইমতো কাজ এগোবে।
এদিন মদন মিত্র জানান, তিনি এখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। রিপোর্ট তৈরি করে তা পরিবহণ দফতরে জমা দেবেন। এরপরই সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে থেকে ট্রাম চালু হবে। এদিন পরিদর্শনে এসে একটি বন্ধ ট্রামের ভিতরে ঢুকে ঘুরেও দেখেন তিনি। মদন মিত্রের কথায়, “প্রত্যেকদিন আমার কাছে সকালে একগাদা ফোন আসে। আমি দেখছি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এটা দেখার জন্যই খিদিরপুরে এসেছি। খিদিরপুর ধর্মতলা ট্রাম বন্ধ রয়েছে আমফানের পর থেকে। আমি সেই রিপোর্ট ফিরহাদ হাকিমকে দেব। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোথাও কোনও কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন নোটিস কিন্তু দেওয়া হয়নি।”
তিনি জানান, কলকাতার ঐতিহ্য ট্রামকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে সরকার নানারকম ব্যবস্থাও নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, “আমরা ট্রাম নিয়ে নতুন নতুন ভাবনাচিন্তা করছি। ট্রামে রেস্তোরাঁ, ট্রামে সারাদিন যাতে ঘোরা যায় তার জন্য স্পেশাল ট্রাম রয়েছে। যেগুলো পড়ে আছে সেগুলি কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে নিত্য নতুন পরিকল্পনা হচ্ছে।” এদিন নারদকাণ্ডে আদালতে হাজিরা ছিল মদন মিত্রের। অন্তর্বর্তী জামিন নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়। হাজিরা দেন ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। প্রত্যেকের আইনজীবীই পাকাপাকিভাবে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেন।