কলকাতা: টক টু মেয়রে ফোন এক মহিলার। এরপর যে অভিযোগ তিনি করলেন তাতে হতভম্ব কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ এক মহিলার। যা শুনলেন মেয়র ফিরহাদ। টক টু মেয়রে সরাসরি ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলেন মহানগরবাসী। স্পিকারে সমস্ত অভিযোগ শুনতে পান সকলে।
আজ শনিবার টক টু মেয়র চলাকালীন কলকাতার এক বাসিন্দা ফোন করেন। ফোনে জানান, বেআইনি নির্মাণের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তাই তাঁকে মারা হয়, দাঁত ফেলে দেওয়া হয়। ওই মহিলা যখন এই অভিযোগ করছেন, টক টু মেয়রের ঘর একেবারে চুপচাপ।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিসও ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড পার্ক সার্কাসের কড়েয়া রোডে বেআইনিভাবে একটি পাঁচতলা বাড়ি তৈরি হয়। পুরসভা অনুমতি দিয়েছিল তিনতলা পর্যন্ত করার। অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে অভিযোগকারী ভদ্রমহিলাকে মারধর করা হয়, দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
মেয়রের কাছে ফোন করে ওই মহিলা বলেন, পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। বরং প্রাণেও মেরে ফেলার হুমকি পেয়েছেন তিনি। মেয়র এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন বলে আশ্বাস দেন। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র। এ প্রসঙ্গে বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “কাউন্সিলরের লোকেরা এসব করেছে। যত অবৈধ নির্মাণ সবই তো তৃণমূলের কাউন্সিলররা করেন।” যদিও এদিন ওই মহিলাকে ফিরহাদ ফোনে জানান, থানায় যে ডায়েরি করেছেন তার নথি তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন।