Kolkata Medical College: শ্লীলতাহানির অভিযোগ, আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধানের

Kolkata Medical College: অ্যানাটমি বিভাগের এইচওডি-র বিরুদ্ধে দিনের পর দিন প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কল্যাণ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে একাধিক প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে শ্লীলতাহানি, শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ উঠে এসেছে।

Kolkata Medical College: শ্লীলতাহানির অভিযোগ, আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধানের
কলকাতা মেডিক্যালের অধ্যাপকের ইস্তফাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 21, 2025 | 5:46 PM

কলকাতা: পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধানের। প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ ওঠে প্রধানের বিরুদ্ধে। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান ডাক্তারি পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের ঘরের বাইরেই চলে বিক্ষোভ। শুক্রবার বেলা বারোটা থেকে মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্যরা অধ্যক্ষের ঘরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রিন্সিপ্যালকে লিখিতভাবে অভিযোগও জানান তাঁরা।

অ্যানাটমি বিভাগের এইচওডি-র বিরুদ্ধে দিনের পর দিন প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কল্যাণ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে একাধিক প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে শ্লীলতাহানি, শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেলা ১২ টা নাগাদ প্রিন্সিপাল অফিসের সামনে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিকালে দিকে চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এইচওডি।

অধ্যক্ষের তরফে জানানো হয়েছে,  নতুন HOD হিসাবে দ্বায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে মৈত্রেয়ী মন্ডলকে।  প্রিন্সিপালের আরও জানানো হয়েছে, ৭ জনের কমিটি তৈরি হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে অধ্যক্ষকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। অধ্যক্ষ বলেন, “রিপোর্ট পেলে আমি স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠাবো। রিপোর্টে অনুযায়ী তারাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”

বিক্ষোভকারী এক ছাত্র বলেন, “আমাদের দাবি আংশিকভাবে পূরণ হল ঠিকই। তবে চার বছর ধরে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আমরা অধ্যক্ষকে দিয়েছিলাম। চার বছর পর এই আন্দোলনের জেরে পদক্ষেপ। ”

এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী বলেন, “বিষয়টা সংবেদনশীল। বিশেষ করে মেডিক্যাল কলেজের প্রেক্ষাপটে। আমরাও ভাল করে এই নিয়ে কথা বলার মানসিকতা নেই। প্রশাসন চেষ্টা করেছে সমস্যা সমাধানের। এখানে তো পঠনপাঠনের জন্য আসে। হেড স্যর ইস্তফা দিয়েছেন।”