
বর্তমানে কলকাতা মেট্রোর সবচেয়ে বড় স্টেশন কোনটা? এই মুহূর্তে ৩টে এমন স্টেশন রয়েছে যে স্টেশনগুলোকে জংশন স্টেশন বলাই যায়। আর এই তালিকায় সবার উপরে থাকবে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন। এর পর নোয়াপাড়া, যে স্টেশনে এয়ারপোর্ট থেকে ট্রেন এসে দাঁড়াবে। তারপর যাত্রীরা ট্রেন বদল করে যেতে পারবেন ব্লু লাইনে। আর একটা কবি সুভাষ। যদিও ব্লু লাইনের স্টেশনটি আপাতত বন্ধ থাকায় ব্লু লাইন মেট্রো শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্তই চলছে।
কিন্তু এই দুই স্টেশনের থেকে একেবারে আলাদা এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন। প্রথমত, ইস্ট-ওয়েস্ট ও নর্থ-সাউথ (ব্লু লাইন) লাইনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন এই এসপ্ল্যানেড। এ ছাড়াও মাটির উপরেই রয়েছে বিরাট বাসস্ট্যান্ড ও ট্রাম ডিপো। ফলে যাত্রী সংখ্যার নিরিখেও অন্যতম বড় স্টেশন এই এসপ্ল্যানেড। অনেক মানুষ রোজ কাজের সূত্রে এই অঞ্চলে আসেন। কিন্তু যে মানুষটা নর্থ-সাউথ (ব্লু লাইন) লাইনের মেট্রো ধরে এসপ্ল্যানেডে এসে ট্রেন বদলের কথা ভাবেন, তিনি কীভাবে ট্রেন বদলাবেন? বা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করে কেউ এসেই বা কীভাবে মেট্রো বদল করবেন?
উত্তর-দক্ষিণ করিডরের মেট্রো করে এসপ্ল্যানেডে নেমে প্রথমে সিঁড়ি দিয়ে বা এসেকেলেটর দিয়ে উপরে উঠলেই চোখে পড়বে বড় বড় হরফে তীর চিহ্ন দিয়ে লেখা ‘গ্রিন লাইন মেট্রো’ বা ‘হাওড়া, হাওড়া ময়দান যাওয়ার পথ’। সেদিকে সবুজ পায়ের ছাপ চোখে পড়বে। সেই পায়ের ছাপ ধরে এগিয়ে গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর স্টেশনে। কার্ড পাঞ্চও করতে হবে না আপনাকে।
আবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো থেকে নেমে ব্লু লাইনের মেট্রোয় আসতে চাইলে দেখবেন তীর চিহ্ন দিয়ে লেখা রয়েছে ‘ব্লু লাইন মেট্রো’ বা তীর দিয়ে লেখা ‘কবি সুভাষ, কালীঘাট, দমদম, দক্ষিণেশ্বর’। আর দেখবেন একজোড়া নীল পায়ের ছাপ চলে গিয়েছে। সেই পায়ের ছাপ ধরে এগিয়ে গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন নর্থ-সাউথ করিডরে। কীভাবে মেট্রো বদলাবেন, তা বোঝা গিয়েছে আশা করা যায়। তাহলে এবার মেট্রো ধরে এসপ্ল্যানেডে গিয়ে লাইন বদল করতে আর কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয়।