জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো নিয়ে আশার আলো, আগামী বছরই চালু হতে পারে পরিষেবা
Joka-Majherhat Metro: আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী।
কলকাতা: আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখে এমনই আশা প্রকাশ করলেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশি। এদিন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। জোকা ডিপো থেকে বেহালা সখের বাজার, মাঝেরহাট পর্যন্ত সমস্ত কাজের তদারকি করেন।
শহরে যে সমস্ত মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ হচ্ছে, তার মধ্যে সব থেকে শ্লথ গতি বোধহয় জোকা-বিবাদীবাগ প্রকল্পের। নামেই জোকা-বিবাদীবাগ। আসলে জোকা থেকে শুরু হয়ে মেট্রো শেষ অবধি যাবে এসপ্লানেডে। ২০১০ সালে এই মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই সময়ই প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৫১৩৩.৩৮ কোটি টাকা। ১১ বছর ঘুরতে চলল, তবু প্রকল্পটি হোঁচট খেয়েছে পদে পদে। এবার বোধহয় কিছুটা সে ছবিতে বদল আসতে চলেছে।
আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। সোমবার এই প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন তিনি। ট্রলিতে করে সখের বাজার, বেহালা, মাঝেরহাট পথ ঘুরে দেখেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য আধিকারিকও। জোকা ডিপো থেকে বেহালা সখের বাজার মাঝেরহাট পর্যন্ত কাজ কতটা এগোল, তার খতিয়ান নেন। পরে মনোজ জোশী বলেন, “এখন সব জায়গাতেই কাজ চলছে। অনেকটা পথ এবং নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ পথও। আমরা চেষ্টা করব মাঝেহাট পর্যন্ত যে পথ তা আগামী বছরই চালু করে দেওয়ার সব রকম চেষ্টা করা হবে। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে লক্ষ্য ছুঁতে পারব আমরা।”
মনোজ জোশী জানান, প্রকল্পের ক্ষেত্রে ছোট ছোট যে সমস্যাগুলি রয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বড় সমস্যার ক্ষেত্রে রিভিউ করে দেখা হবে। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সে ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হলেও তা মিটিয়ে দ্রুত গতিতে কাজ করা হচ্ছে। সব কাজ ঠিকঠাক চললে আগামী বছরই জোকা-মাঝেরহাট পরিষেবা চালু করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
জোকা থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত মেট্রোর এই রুটে মোট ১৪টি স্টেশন থাকছে। জোকা এলাকাতেই ডায়মন্ড পার্ক, আইআইএম ও জোকা স্টেশন। এরপর ঠাকুরপুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার, তারাতলা, মাঝেরহাট, মোমিনপুর, খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া, পার্ক স্ট্রিট ও এসপ্লানেড। প্রসঙ্গত, মাঝেরহাট সেতু চালু হতেই বেহালার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব কমতে শুরু করেছে ফের। মাঝেরহাট সেতুর নতুন করে উদ্বোধনের পর ডায়মন্ড হারবার রোডে যাতায়াতও অনেকটাই সুগম হয়েছে। একই সঙ্গে এই পথে মেট্রোর কাজেও গতি এসেছে অনেকটাই। সুতরাং এ ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোপথ। আরও পড়ুন: আফগানি মুদ্রা, সোনার বার! শুল্ক দফতরের অভিযানে পর পর সাফল্য, বাড়াচ্ছে উদ্বেগও