কলকাতা: দেবাঞ্জন দেব, সনাতন রায় ও তাঁদের আরও চার উত্তরসূরি- শহরে উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক সেজে প্রতারণার একের পর এক যা নিদর্শন উঠে আসছে, তা ভাবাচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ করল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ (Kolkata Metro Authorities)।
কয়েকদিন ধরেই কলকাতা মেট্রো রেলের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, মেট্রো রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। তারপরেই বাড়তি সর্তকতা নিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
সচেতন মেট্রো
♦ ১. শহরের সবকটি মেট্রো স্টেশনে লাগানো হয়েছে সচেতনতামূলক পোস্টার।
♦ ২. যাত্রীদের সচেতন করতে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
♦ ৩. কলকাতা মেট্রো রেলের বিভিন্ন ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপস’ এর মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে।
♦ ৪. রেল পুলিশ এবং ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টকে এই ব্যাপারে আরও সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।
♦ ৫. যে কোনোও অভিযোগে যাতে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়, তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার প্রতারকরা। ডিএসপি পরিচয় দিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ডিএসপি পরিচয় দিয়ে রাজ্য পুলিশের হোম গার্ড পদে নিয়োগের জন্য বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তুলেছেন চার জন।
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জন-সনাতনের ৪ উত্তরসুরি! ডিএসপি পরিচয় দিয়ে শহরে ৩৫ লক্ষ টাকার ‘প্রতারণা’
গত ৬ জুন বউবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। ওই অভিযোগে বলা হয়, সমরেশ মাহাতো নামে এক ব্যক্তিকে ডিএসপি পরিচয় দিয়ে হোম গার্ডে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছেন ৪ ভুয়ো পুলিশ কর্তা। ওই যুবক ছাড়াও তাঁর পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে একইরকমভাবে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মেদিনীপুর ও কলকাতার চাঁদনি চকের একটি হোটেলে তাঁদের ডেকে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতারিত। তদন্তকারীরা মনে করছেন, জাল অনেক দূর ছড়িয়ে। সঠিক তদন্তে এবার ধরা পড়বে এমন অনেক প্রতারক।