কলকাতা: রবিবার দুপুর থেকেই দক্ষিণেশ্বর-দমদম লাইনে স্তব্ধ হয়েছিল মেট্রো পরিষেবা। এর জেরে রবিবার বাতিল করা হয়েছিল ৮০টি ট্রেন। যা কলকাতা মেট্রোর ইতিহাসে বেশ নজিরবিহীন ঘটনা। থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগের গোলমালের জেরেই ঘটেছিল এই বিভ্রাট। কিন্তু সারা রাত কাজের পর ওই বিভ্রাট সামাল দেওয়া গিয়েছে। এর জেরে সোমবার সকাল থেকে ওই লাইনে স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। এর জেরে স্বস্তিতে নিত্যযাত্রীরা। মেট্রো কর্তৃপক্ষ সোমবার সকালে জানিয়েছেন, দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া রুটে মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রবিবার দুপুর ১টা ৫২ মিনিট থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং দমদমের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা স্তব্ধ হয়েছিল। থার্ড রেলে বিদ্যুৎ পরিষেবার বিঘ্নতেই এই বিপত্তি ঘটে। এর পর মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও রবিবার চালু হয়নি মেট্রো। এর পর রবিবার রাতভর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলেছে। তার জেরেই সকালে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
বারবার দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়ায় এই বিপত্তির কারণ কী?
১) থার্ড লাইন ত্রুটিপূর্ণ। অনেক জায়গায় এমন ভাবে ত্রুটি হয়ে রয়েছে, যে কারণে মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটছে।
২) থার্ড লাইন আগেও বেশ কয়েকটি জায়গায় নিজের জায়গা থেকে সরে গিয়েছে বা ভেঙেছে। কিন্তু সেগুলি সঠিকভাবে মেরামত না করেই মেট্রো পরিষেবা শুরু করে দিয়েছে। যে কারণে এই দু’দিনের বিপর্যয় বড় আকার নিয়েছে।
৩) দমদম থেকে মেট্রোর লাইন দক্ষিণেশ্বর এর দিকে যাওয়ার সময় অনেকটাই উঁচু হয়ে গিয়েছে। সেখানে যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করছেন মেট্রোর আধিকারিকরা।
৪) নির্দিষ্ট করে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর, এর মাঝেই কেন বিপর্যয়, তা নিয়ে কোনরকম গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নেই। ফলে বিপর্যয়ের কারণ বেরিয়ে আসছে না সঠিকভাবে।
৫) থার্ড লাইন নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বারবার সরে গিয়েছে। তাতেই বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটছে। কিন্তু বারবার যে অংশে সরছে, সেখানে খতিয়ে না দেখে গোটা থার্ড লাইনের অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাতে সঠিক রোগ বের করে আনা দুষ্কর হচ্ছে।